চসিকের ঘাটতি নিরূপন করে ভবিষ্যত কর্ম পরিকল্পনা নেয়া হবে – মেয়র
চসিকের ঘাটতি নিরূপন করে ভবিষ্যত কর্ম-পরিকল্পনা নেয়া হবে- মেয়র মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ১০০ দিনের মধ্যে জনগুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনায় সাফল্য যেমন এসেছে, তেমনি কিছু প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এই অভিজ্ঞতা অর্জন ও সক্ষমতার ঘাটতি নিরূপণের মাধ্যমে চসিকের ভবিষ্যত কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হবে বলেও মনে করেন তিনি। শনিবার বিকেলে চসিক আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনের কে.বি আব্দুস সাত্তার মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম ধাপে নির্বাচনী অঙ্গীকার ও কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চসিকের সক্ষমতা ও সামর্থ্য কতটুকু বিদ্যমান তা যাচাই করে নেয়া জরুরি। তাই যে টুকু সামর্থ, সামগ্রী ও জনবল আছে তা নিয়ে ১০০ দিনের মধ্যে জনগুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার ভিত্তিক কার্যক্রম শুরু করেছিলাম, যা পরবর্ত্তীতে আরো ৯০ দিন বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরিষদের পৃষ্ঠপোষক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল বারী চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দীন, বিদ্যুৎ স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোর্শেদ আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, সিবিএ-র সভাপতি ফরিদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহিদুল আলম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক বিপ্লব কুমার চৌধুরী, রতন চৌধুরী, বৈদ্যুতিক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. ইসকান্দর, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন প্রমুখ। মেয়র আরো বলেন, চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নগরীকে আলোকিত করে রেখেছে। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে তাদের অনেক ঝুঁকি নিতে হয়। সে ঝুঁকি নিতে গিয়ে বিগত কয়েক বছরে ১১ জন শ্রমিককে প্রাণ দিতে হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে কোন শ্রমিককে যেন কাজ করতে গিয়ে মৃত্যুর মুখে পতিত হতে না হয় সেজন্য যে সকল সরঞ্জাম প্রয়োজন সে সরঞ্জামগুলো পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান। # ১২.০৬.২০২১ চট্টগ্রাম #