চট্টগ্রামে ৬৪৯টি পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর জমিসহ পাকাঘর
চট্টগ্রামে ভূমিহীন ও গৃহহীন (২য় পর্যায়) ৬৪৯টি পরিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘পাকাঘর’ উপহার পাচ্ছে। এই উপলক্ষে ১৭ জুন বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ‘মুজিব শতবর্ষে একজন লোকও গৃহহীন থাকবে না’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১ম পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি সারাদেশে ৬৯ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামে ১ম পর্যায়ে ১ হাজার ৪৪৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আগামী ২০ জুন চট্টগ্রামের ১৩টি উপজেলার ৬৪৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর প্রদান করা হবে। ঐদিন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দুই নম্বর বেতাগী ইউনিয়নের বহলপুর গ্রামে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বহলপুর গ্রামে একসঙ্গে ৩০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা দুই ক্যাটাগরিতে ঘর দিচ্ছি। যাদের ভূমি ও ঘর দুটিই নেই। আর যাদের জমি আছে কিন্তু থাকার ঘর নেই। যাদের ভূমি ও ঘর দুটিই নেই এমন নয় হাজার ১২৪ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারিভাবে দুই হাজার ৯৯ জন ও বেসরকারিভাবে ১২৩ জনকে ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে আমরা সবাইকে ঘর করে দেবো। জমি আছে ঘর নেই এমন সাত হাজার ৪৭৮ জনের তালিকা তৈরি করেছি। কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান জানান, যে ঘরগুলো দেয়া হচ্ছে সেগুলোতে প্রতিটি ঘরে দুটি শয়নকক্ষ, একটি রান্না ঘর, বারান্দা ও গোসলখানা থাকছে। এছাড়াও ১০টি ঘরের জন্য থাকছে একটি করে ডিপ টিউবওয়েল। দ্বিতীয় পর্যায়ে রাউজান উপজেলার ২৪৮টি, লোহাগাড়ার ১৫০টি, রাঙ্গুনিয়ার ৫০টি, আনোয়ারার ৫০টি, পটিয়ার ৩০টি, চন্দনাইশের ২৭টি, মিরসরাইয়ের ২৫টি, বোয়ালখালীর ২০টি, বাঁশখালীর ১৪টি, সাতকানিয়ার ১০টি, হাটহাজারীর ১০টি, সীতাকুণ্ডের ১০টি ও কর্ণফুলীর ৫টি পরিবার ঘর পাচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। # ১৭.০৬.২০২১/চট্টগ্রাম#