বিশ্ব বাজারে তেলের দামকতটা কমলে বাংলাদেশেও কমানো হবে? – জিজ্ঞাসা সচেতন মহলের
বিশ্ব বাজারে তেলের দাম এখন আবার কমছে। গত সপ্তাহে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১২ ডলারের মতো কমে যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের অপরিশোধিত তেলের দাম কমে এখন ৭০ ডলারের কাছাকাছি ওঠানামা করছে। গতমাসে এই মূল্য ৮৫ ডলারে উঠেছিল।
তেলের দাম, ভাড়া বৃদ্ধিসহ ছাত্রদের বাসভাড়া কমানোর দাবিতে আন্দোলনে সম্পৃক্ত একজন ছাত্রী মিতু সরকার ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, “এখানে যখন তেলের দাম বাড়ানো হয় তখন তারা (সরকার) আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির দোহাইটা দেয়। কিন্তু যখন আমরা দেখি যে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে তখন তারা সেটি গোচরে আনেন না।”
আরেকজন ছাত্রী উমানা ফাতেমা বলেন, “যেহেতু তেলের দামের ওপরে আমাদের পুরো অর্থনীতি নির্ভর করে। তেলের দাম বাড়ার আগে থেকেই আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় সরকারের উচিত ছিল সমন্বয় করে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা। “
ঢাকায় পিকআপ চালিয়ে জীবনযাপন করা একজন চালকের কথায় , “তেলের দাম যে হারে বাড়ে, সেই হারে কমে না। খালি বাড়তেই থাকে”।
এ বাস্তবতায় বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের মতো তেলের দাম নির্ধারণেও রেগুলেটরি কমিশনকে যুক্ত করার জোরালো দাবি দেখা গেছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম বলেন, “রেগুলেটরের মাধ্যমে হলে হুট করে ওভারনাইট দাম বাড়িয়ে দিল, এটা কিন্তু হতো না। বহু দেশেই সরকারি সিদ্ধান্ত থাকলেও দাম নির্ধারণটা কিন্তু রেগুলেটরের মাধ্যমে হয়। সেটা সম্ভব বলে আমি মনে করি।”

রেগুলেটরের মাধ্যমে মূল্য সমন্বয়ের প্রক্রিয়া নিয়ে অধ্যাপক তামিম বলেন, “সরকার যদি দাম বৃদ্ধি করতে চায় তাহলে রেগুলেটরের হাতেই দাম বৃদ্ধির ক্ষমতা দিতে হবে। সরকারকে প্রস্তাব করতে হবে রেগুলেটরকে। কারণ দেখাতে হবে যে কেন তারা দাম বাড়াতে চান।”
“সেখানে কনজিউমারদেরও ভূমিকা থাকবে। তাদের বলার একটা অধিকার থাকবে। এবং সে অনুযায়ী সরকারের চাহিদা অনুযায়ী রেগুলেটর কতটুকু দাম বৃদ্ধি করবে সেটি নির্ধারণ করবে।”

সবশেষ ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর জ্বালানি বিভাগ বলেছিল আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে আবার কমানো হবে।
এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমেছে। কতটা কমলে দাম আবার কমানো হবে বা মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে সংস্কার হবে কিনা এসব প্রশ্নে জ্বালানি বিভাগ এই মুহূর্তে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
সূত্রঃ বিবিসি বাংলা