চলমান সংবাদ

৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান

চবিতে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করেছে। শনিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আব্দুর রব হলের মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানিদের এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। এর আগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দিপু মনী ও বিশেষ অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন। শিক্ষা মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, স্লোগানে নয়, হৃদয়ে বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখানোর পর আবার সেটি বাস্তবায়ন করেছেন। সকল অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আর অধিকার আদায়ের জন্য সাহস সঞ্চার করেছেন। তাঁকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতাকে ধূলিস্যাৎ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এরপর মৃত্যুঝুঁকি মাথায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে কাজ করার সংগ্রাম গড়ে তোলেন। কোন অপশক্তি বাঙালির এই অগ্রযাত্রাকে রুখতে পারবে না। নতুন প্রজন্মকেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষা উপমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষাঙ্গনে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা নেতার নামে স্লোগান দেওয়া শোভনীয় নয়। স্লোগান আর পদ পাওয়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন হয় না। প্রায়োগিক, মাল্টিস্কিল অর্জন এবং মেধাশ্রম ভিত্তিক শিক্ষা অর্জন করতে হবে। শুধুমাত্র সনদ আর চাকরি পাওয়ার জন্য নয়, নিজেদেরকে গড়ে তোলার শিক্ষা অর্জন করতে হবে। দেশের গতানুগতিক চাকরীর জন্য বসে না থেকে দক্ষ জনসম্পদ হয়ে গড়ে উঠতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, বাংলাদেশ আজকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে তলাভর্তি ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতার এই শুভক্ষণে প্রতীকী হিসেবে আমরা ৫০জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দিচ্ছি। ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এরআগে শহীদদের স্মরণে চবির স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ ও বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং র‌্যালির মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভার পর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। এরপর সন্ধ্যায় শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে গান পরিবেশন করেন শিরোনামহীন, তিরোন্দাজ ও শাফিন আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান, অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, ড. মাঈনুল হক মিয়াজী, ড. মহিবুল আজিজ, ড. সেলিনা আখতার, ড. সজীব কুমার ঘোষ, ড. রেজাউর রহমান, ড. দেবাশীষ পালিতসহ প্রমুখ। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যুরালে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি আয়োজন করে ‘সংবাদ চিত্রে স্বাধীনতা সংগ্রাম’ প্রদর্শনী। বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বিভিন্ন পত্রিকার খবর ও ছবি দেখানো হয়।
# ২৬.০৩.২০২২ চট্টগ্রাম #