খেলাঘর কর্মী রেহনুমা ফেরদৌস মিতুল হত্যার বিচার ও দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
খেলাঘর কর্মী রেহনুমা ফেরদৌস মিতুল হত্যার বিচার ও দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে খেলাঘর। গতকাল রোববার (৩ জুলাই) নৃশংস এই হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করে গণমাধ্যমে বিবৃতি প্রদান করে খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটি ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি। বিবৃতিতে বলা হয়, সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে প্রতিনিয়ত শিশু ও নারী নির্যাতন বেড়ে চলছে। এর থেকে রেহাই পায়নি খেলাঘরের বোনকর্মী রেহনুমা মিতুল। স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ির সদস্যদের অমানবিক নির্যাতনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় মিতুলকে। খেলাঘর এই জঘন্যতম হত্যাকান্ডের দ্রুত বিচার ও দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। এতে বিবৃতি প্রদান করেন খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মাহফুজা খানম, কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রকৌশলী রথীন সেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুনু আলী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক রোজী সেন, এ.এস.এম জাহিদ হোসেন, খেলাঘর জাতীয় পরিষদের সদস্য দেবাশীষ রায়, খেলাঘর মহানগর কমিটির সভাপতি মুনির হেলাল, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ বসু, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যবৃন্দ। প্রসঙ্গত গত শনিবার (২ জুলাই) সকালে রেহনুমা ফেরদৌসের শ্বশুড়বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ রেহনুমার মরদেহ মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় পায়। মরদেহের গলায় দাগের চিহ্ন পাওয়া যায়। নিহত রেহনুমা খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও চসিক’র আলকরণ ওয়ার্ডের প্রয়াত কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিমের ভাই তারেক ইমতিয়াজের মেয়ে। নিহতের রেহনুমার পরিবারের অভিযোগ, এটি হত্যাকান্ড। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর পক্ষের লোকজন নিয়মিত রেহনুমাকে নির্যাতন করতো। যৌতুক ও উপহার দেয়ার জন্যই এসব নির্যাতন করতো রেহনুমার শাশুড়ি ও তার স্বামী।
# ০৩/০৭/২০২২, চট্টগ্রাম #