সীতাকুন্ড কনেটইনার ডিপো বিস্ফোরণ ঘটনার এক মাস পরও পাওয়া যাচ্ছে মাথার খুলি, পোড়া হাঁড়গোড়
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন-বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে এক মাস দুই দিন আগে। বিস্ফোরণে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া সেই ডিপো থেকে এখনো মিলছে মানুষের মাথার খুলি ও পোড়া হাঁড়গোড়। বুধবার (৬ জুলাই) সকালে ডিপোর বিধ্বস্ত শেড থেকে মানুষের মাথার খুলি ও কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। এর আগে, গত সোমবার (৪ জুলাই) বিকেলেও ডিপো থেকে মানব শরীরের কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, মাথার খুলি ও হাড়গোড়গুলো আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া একজন ব্যক্তির দেহাবশেষ। এ নিয়ে এই ঘটনায় এখন মৃতের সংখ্যা ৫১ জনে দাঁড়াল। চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুন্ড সার্কেল) আশরাফুল করিম বলেন, ডিপোর শ্রমিকরা শেড পরিষ্কারের সময় হাড়গোড়গুলো দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরিচয় নিশ্চিতের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করতে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে। সীতাকুন্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ডিপোর মেরামত কাজ শুরু করেছে। আগুন-বিস্ফোরণের ঘটনার এক মাস দুই দিন পর বুধবার সকালে বিধ্বস্ত শেডের ভেতরে থাকা ধ্বংসস্তুপ সরানোর কাজ করছিলেন ডিপোর কর্মীরা। এক পর্যায়ে তারা ডিপোর লম্বা শেডের ভেতরের ধ্বংসস্তুপ সরানোর সময় মরদেহের মাথার খুলি ও পাজরের পোড়া হাড়গোড় পায়। আমরা গিয়ে হাড়গোড়গুলো উদ্ধার করেছি। আমাদের মনে হয়েছে এগুলো এক ব্যক্তির হাতগোড় হতে পারে। প্রসঙ্গত গত ৪ জুন দিবাগত রাতে সীতাকুন্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। এরপর সেখানে কয়েক দফা বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ১০ জন ফায়ার ফাইটারসহ এখন পর্যন্ত ৫১ জনের মৃত্যুর খবর প্রশাসন নিশ্চিত করেছে। তাদের মধ্যে ৩০ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত সবার মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনো ২১ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আহত-দগ্ধ অনেকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই ঘটনায় একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অপরদিকে আগুনে দগ্ধ কয়েকজন কর্মকর্তাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
# ০৬.০৭.২০২২ চট্টগ্রাম #