নিখোঁজের একদিন পর টয়লেট থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
নগরীতে নিখোঁজের একদিন পর টয়লেট থেকে এক মুদি দোকানির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর ডবলমুরিং থানার দাইয়াপাড়া এলাকায় স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। নিহত শাহাদাত হোসেন কনকের (৩০) শরীরে ছুরিকাঘাতে জখমের চিহ্ন আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাসুদ রানা জানান, শনিবার রাত থেকে কনকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের সদস্যরা গিয়ে দোকান বন্ধ দেখতে পান। মোবাইলে ফোন করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। কনকের বাবা রোববার ডবলমুরিং থানায় নিখোঁজ মর্মে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। শাহাদাতের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। নগরীর দাইয়াপাড়া এলাকায় তার একটি মুদি দোকান আছে। সেখানেই ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন কনক।
পুলিশ পরিদর্শক মাসুদ রানা বলেন, দোকানের পেছনে একটি টয়লেটের ভেতরে কনকের মরদেহ পড়ে আছে- খবর পেয়ে সোমবার পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআিই) এবং নগর গোয়েন্দা পুলিশের টিমও ঘটনাস্থলে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। আলামত সংগ্রহের পর ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) মোহাম্মদ আব্দুল ওয়ারীশ বলেন দোকানের পেছনে একটি কলোনিতে ব্যাচেলরদের কয়েকটি ভাড়াঘর আছে। কলোনির প্রবেশমুখে একটি টয়লেট আছে, যেটি সবসময় খোলা থাকে এবং আশপাশের লোকজনও ব্যবহার করেন। সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা কনকের লাশটি পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। আমাদের ধারণা, তাকে বাইরে কোথাও খুন করে লাশ টয়লেটের ভেতরে রাখা হয়েছে অথবা টয়লেটের ভেতরে নিয়ে খুন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ঘটনাটি একেবারেই ক্লুলেস। আমরা চেষ্টা করছি ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে।
# ০১.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #