চলমান সংবাদ

অপহরণের তিন বছর পর মাদ্রাসাছাত্র উদ্ধার

-নিখোঁজ পোস্টার দেখে খবর দেন রেস্টুরেন্ট মালিক

তিন বছর আগে নগরীর বাকলিয়া এলাকা থেকে অপরহরণের শিকার হয় মাদ্রাসাছাত্র সিয়াম (৮)। ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলেও সিয়ামকে তার পরিবারের কাছে ফেরত না দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার ট্রেনে তুলে দেয় অপহরণকারী। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করলেও ভিকটিমকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। অবশেষে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল এলাকার একটি হোটেল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। বুধবার (৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলা পিবিআই’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিশুটিকে উদ্ধারের বিষয়টি জানানো হয়। পিবিআই জানায়, সিয়ামের বাবা দেলোয়ার হোসেন কাতার প্রবাসী। চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকায় দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তিন বছর ধরে বসবাস করছেন। ২০১৯ সালের ২৫ জুন বাকলিয়ার এলাকার মাদ্রাসা থেকে সিয়ামকে অপহরণ করে মো. নাছির নামে এক ব্যক্তি। পরিবারের কাছে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করলেও সিয়ামকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে না দিয়ে ঢাকাগামী একটি ট্রেনে উঠিয়ে দেয়। এরপর অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করলে, তিনি ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য অপহরণের ঘটনা ঘটানোর কথা স্বীকার করে। তবে সিয়ামের কোন হদিস দিতে পারেননি তিনি। শুধু জানিয়েছিলেন ঢাকাগামী একটি ট্রেনে তুলে দেওয়ার কথা। পুলিশের কাছ থেকে মামলাটি দায়িত্বভার গ্রহণ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার সিয়ামে নাম, ঠিকানা, ও ছবি দিয়ে পোস্টারিং করতে থাকে পিবিআই। পিবিআই চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, সিয়াম ঢাকা আসলে দক্ষিণ ঢাকার কেরানীগঞ্জের তিন বছর যাবত আল আমিন নামে একটি খাবার হোটেলে কাজ করতে থাকে। প্রথমদিকে খাবার হোটেলে সামনে ঘোরাঘুরি করে। হোটেল মালিক শিশুটির কাছ থেকে বাবা-মায়ের ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, পরিচয় না পেয়ে আল আমিন হোটেল মালিক তাকে রেস্টুরেন্টের কাজে রাখে। পরে একদিন সিয়ামের নিখোঁজ পোস্টার দেখে তার পরিবারকে খবর দিলে পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা তাকে উদ্ধার করে আনেন। # ০৩.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #