চলমান সংবাদ

সম্পাদকীয়ঃ চবিতে ছাত্রলীগের কমিটি ও সাধারণ ছাত্রদের ভোগান্তি

গত ৩১ জুলাই রাতে চবি শাখা ছাত্রলীগের ৪২৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এরপর থেকে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন পদবঞ্চিতরা,যাতে বিশ্ববিদ্যালয়টি কার্যতঃ অচল হয়ে পড়ে। আন্দোলনের কারণে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটলট্রেন চলাচল এবং অধিকাংশ বিভাগের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকাতে এখানকার প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভিন্ন দায়িত্ব পালনকারী সবাইকেই ভোগান্তির শিকার হতে হয়। কমিটিতে পদ পাওয়া বিতর্কিত নেতাদের আজীবন ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটি বর্ধিত করা, সকল অছাত্র, জামায়াত-বিএনপি ও বিবাহিতদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া, ৫০ জন ত্যাগী, মেধাবী ও নিয়মিত ছাত্রকে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং পদবিতে সিনিয়র-জুনিয়র ক্রম বজায় রাখার দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।  উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই চবি ছাত্রলীগের দুই সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পরে ক্যাম্পাসে অচলাবস্হা সৃস্টি হওয়ার প্রেক্ষিতে গত ২ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের হস্তক্ষেপে আন্দোলন থেকে সরে এসেছে বলে দাবি করছেন তারা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পদবঞ্চিতরা টানা ৩৫ ঘণ্টা তান্ডব করেছে, অচল থেকেছে ক্যাম্পাস। এ সময়ে প্রশাসন অন্তত ৯টি পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের চালকসহ তিনজনকে অপহরণ করা হয়েছিল। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বহনকারী পরিবহন চলাচলেও বাধা দেয়া হয়। ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে এসব অনাকাংখিত ঘটনায় সাধারণ ছাত্ররা জিম্মি হয়ে পড়ে, যা খুবই দুঃখজনক। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলোকে বৃহত্তর স্বার্থে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। তারা তাদের দাবী আদায়ের জন্য বিকল্প ও গ্রহনযোগ্য কোন কর্মসূচি দিতে পারে। আর ভবিষ্যতে এসব ঘটনা যাতে না ঘটে প্রশাসনকে সেজন্য অবশ্যই কার্যকর ভুমিকা নিতে হবে। কোন একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠনের কমিটি গঠন সংক্রান্ত দায়ভার সাধারণ ছাত্রদের নয়। সুতরাং কোন ছাত্র সংগঠনের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে কিংবা তাদের আভ্যন্তরীন অন্য কোন বিষয়ে বিরোধের কারণে সাধারণ ছাত্রদের ভোগান্তি কাম্য নয়।

# ০৩/০৮/২০২২ #