বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ – শ্বাশ্বত টিটো
আজ সকালে যে সূর্য প্রথম উঠেছিল
সেই একই সূর্য কি উঠেছিল একশত বছর আগে?
একশো বছর আগে টুঙ্গিপাড়ার বিস্তীর্ণ উঠোনে,
ফসলের গায়ে, জমির আলে, পুকুরের জলে
সেই একই সূর্য কি উত্তাপ ছড়িয়েছিল ভালোবেসে?
আমি কেবল সে উত্তর খুঁজি।
আমি কেবল কালো মোটা ফ্রেমের
একটি চশমার কাঁচের ভিতর দিয়ে
আমার বাংলাদেশকে খুঁজি, যে দেশ একদিন কেঁপেছিল
টুঙ্গিপাড়ার সৌম্যকান্তিদর্শন এক যুবকের বজ্র নিনাদে।
আমি সেই যুবকটিকে খুঁজে ফিরছি পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তরে
বিশ্ব নাগরিক হয়ে।
টুঙ্গিপাড়ার পবিত্র মাটি, জলকণা, ফুল ও ধুলো
ছড়িয়ে পড়ছে পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তরে, আকাশ থেকে আকাশে,
বাতাস থেকে বাতাসে, সৌরমণ্ডলের প্রতিটি পরতে পরতে।
টুঙ্গিপাড়ার জল-হাওয়ায় বেড়ে উঠা মানুষটির কণ্ঠস্বর
ঢেউ তুলছে প্রশান্ত-আটলান্টিক-ভারত মহাসাগরের উদ্দাম জলে।
ক’টা কবিতা লিখলে একজন রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায়?
ক’টা গান বেঁধে একজন নজরুল রণহুঙ্কার শোনায়?
ক’টা ছবি আঁকলে একজন জয়নুল শিল্পাচার্য্য হতে পারে?
একশো বছর আগে একটা কবিতা লেখা হয়েছিল পদ্মার অবগুন্ঠনে,
একশো বছর আগে একটা গান বেজেছিল মেঘনা-যমুনার মিলনে;
একশো বছর আগে একটা গল্প উঠে এসেছিল বঙ্গোপসাগরের বালুকণা বেয়ে।
হিমালয় থেকে সুন্দরবন হয়ে
কালের মহাযাত্রার সূচনা করে
একটি মানুষ তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলেছিল শুধু একটি ছবি “বাংলাদেশ”।
বুকের নির্যাসে কলমের খোঁচাতে লিখেছিলো শুধু একটি কবিতা “বাংলাদেশ”।