চট্টগ্রাম সংবাদ
চসিকের ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ
নগরীতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা অর্ধশতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই অভিযানে ফুটপাতে দোকানের মালামাল রেখে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে ৪ দোকান মালিককে জরিমানা গুণতে ১১ হাজার টাকা। রবিবার (২১ আগস্ট) নগরের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা, আন্দরকিল্লা ও মোমিন রোডে অভিযান চালিয়ে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী। তিনি বলেন, উভয় পার্শ্বের ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠা প্রায় অর্ধশতাধিক দোকান এবং দোকানের বর্ধিত অংশ উচ্ছেদ করে রাস্তা ও ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়। ফুটপাত দখল করে দোকানের মালামাল রেখে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে ৪ দোকান মালিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু পূর্বক ১১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় মেয়রের একান্ত সচিব ও চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন। অভিযানকালে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তা প্রদান করেন। # ২১.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #
চট্টগ্রামে তিন স্বর্ণ চোরা কারবারির যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে প্রাইভেটকারের তেলের ট্যাঙ্কির ভেতর থেকে ১২০ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাকারবারি চক্রের তিন সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২০১৫ উদ্ধার করা প্রায় ৬ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বারগুলো সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে দুবাই থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়েছিল। রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছা তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই রায়ে আদালত তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। দণ্ডিতরা হলেন- জাকির হোসেন মুন্না, মো. জহির ও মো. ফারুক। এদের মধ্যে কারাগারে থাকা ফারুক রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। বাকি দুইজন জামিনে গিয়ে পলাতক আছেন। মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী তিনি বলেন, এ মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে ১১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। রায়ে ৩ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে আদালত। আসামি জাকির উদ্দিন মুন্না ও মো. জাহির জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। আর ফারুক রায় ঘোষণার সময় আদালতের হাজতে ছিল। আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ২৩ জুন সকালে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার রুবি গেইট এলাকায় সড়কে একটি প্রাইভেট কারে তল্লাশি করে পুলিশ তেলের টাংকির ভেতর থেকে ১২০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। প্রাইভেটকারের যাত্রী জাকির, জহির ও ফারুককে এ সময় গ্রেপ্তার করা হয়। তিনজনের বাসা ছিল বায়েজিদ বোস্তামি থানার হিলভিউ আবাসিক এলাকায়। স্বর্ণের বার উদ্ধারের ঘটনায় বায়েজিদ বোস্তামি থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সঞ্জীব দত্ত বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (খ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা সংঘবদ্ধ স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সদস্য। সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পন্থায় দুবাই থেকে স্বর্ণের বারগুলো এনে নিজেদের হেফাজতে রেখে ঢাকায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। প্রতিটি ১০ তোলা করে স্বর্ণের বারের মোট ওজন ১২ কেজি। দাম প্রায় ৬ কোটি টাকা। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর তিনজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ১৮ এপ্রিল আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দিয়েছেন। # ২১.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #
চট্টগ্রামে টিসিবির পণ্য ‘গুদামজাত’ করে খোলা বাজারে বিক্রি, গ্রেপ্তার ১
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারি ভর্তুকিতে নিয়মিত বাজার দরের চেয়ে কম দামে বিক্রি করার কথা থাকলেও তা না করে এসব পণ্য খোলা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করছিলো আব্দুল আজিজ সুমন নামে (৩৫) নামে এক যুবক। নগরীর আমিন জুট মিলের ভেতরের একটি ভাড়াঘরে গড়ে তোলা তার গোডাউনে অভিযান চালিয়ে টিসিবির পণ্য উদ্ধার করেছে র্যাব। সেখান থেকে টিসিবি লোগোযুক্ত ৩৯৮ লিটার সয়াবিন তেল, ২০০ কেজি মসুর ডাল এবং ২৫০ কেজি চিনি জব্দ করে র্যাব। পাশাপাশি টিসিবির পণ্য কালোবাজারির অভিযোগে আব্দুল আজিজ সুমনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সুমন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর এনায়েতপুর এলাকার সুলতান আহমেদের সন্তান। রবিবার (২১ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৭’র সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার। সুমন র্যাবকে জানিয়েছে, টিসিবির ডিলারের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে পণ্য সংগ্রহ করে খোলা বাজারে বিক্রি করে আসছিলো সে। র্যাব জানায়, খোলা বাজারে যখন তেলের দাম ২০০টাকা, চিনি ৯০ টাকা ও ডা ১৪০ টাকা তখন নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকার ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির সয়াবিন তেল ১১০ টাকা, ডাল ৬৫ টাকা এবং চিনি ৫৫ টাকায় খোলা বাজারে ভোক্তাদের মাঝে বিক্রয়ের কথা। কিন্তু তা না করে এসব পণ্য মজুদ করে টিসিবির মোড়ক পরিবর্তন করে নিয়মিত দামে এসব পণ্য বিক্রি করছিলো সুমন। এসব পণ্য সুমন সংগ্রহ করতো টিসিবি’র ডিলার মো. বাবু (৩৫) এর মাধ্যমে। সুমন জানিয়েছে, বাবুর কাছ থেকে টিসিবির পণ্য সংগ্রহের পর সেগুলো গোডাউনে মজুদ রেখে টিসিবি’র লোগো সম্বলিত সয়াবিন তেলের বোতল থেকে খালি বোতলে বোতলজাত করে এবং চিনি ও ডাল সাধারণ প্যাকেটে প্যাজেটজাত করে বিক্রয় করে আসছে।’ র্যাব কর্মকর্তা নূরুল আবছার বলেন, ‘নিজেদের ভাড়াকৃত গোডাউনে অবৈধভাবে মজুদ করে পরবর্তীতে কালোবাজারের মাধ্যমে অন্যান্য সাধারণ পণ্যের ন্যায় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় করে অসহায় সাধারণ ভোক্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করে আসছে। যার দরুন সাধারণ ভোক্তাগণ দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পায় না। এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটক সুমনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’ # ২১.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #
চট্টগ্রামে বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ
বন্দরনগরীতে হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। আক্রান্ত অনেকের শরীরে মিলেছে কলেরার জীবাণু। চিকিৎসকদের ধারণা, চট্টগ্রাম ওয়াসার পানিতে থাকতে পারে কলেরার জীবাণু। তবে রোগের উৎপত্তির বিষয়ে নিশ্চিত হতে গবেষণা শুরু করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রফিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া তীব্র গরমের পাশাপাশি খাবারের সঙ্গে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন বলেও ধারণা করছেন চিকিৎসকরা। চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি থেকে এ রোগ ছড়াচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে গত শুক্রবার (১৯ আগস্ট) চট্টগ্রামে আসে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) একটি দল। সাত সদস্যের এ দল শনিবার (২০ আগস্ট) সকাল থেকে ওয়াসাসহ বিভিন্ন খাবার পানির নমুনা সংগ্রহ করেন। তবে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বলছে, ওয়াসার পানি পরিশুদ্ধ করে সরবরাহ করা হয়। ডায়রিয়া আক্রান্তের জন্য ওয়াসার পানি দায়ী নয়। ডায়রিয়ার পানিবাহিত রোগ হলেও অন্য যে কোনও কারণে আক্রান্ত হতে পারেন। ওইসব এলাকার ওয়াসার পানির কিংবা পাইপলাইনের কোনও সমস্যা নেই। বিভিন্ন ভবনের নিচে থাকা পানির রিজার্ভ টাংকিতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় এবং তা পান করায়ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন অনেকে। যেসব এলাকায় স্যানিটেশন ব্যবস্থা নাজুক সেখানে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শুধুমাত্র বিআইটিআইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিন শতাধিক রোগী। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ১৫ আগস্ট থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বেশি ভর্তি হতে শুরু করেন। গত ১৫ আগস্ট ৬৯ জন, ১৬ আগস্ট ৫৫জন, ১৭ আগস্ট ৪৭জন, ১৮ আগস্ট ৪০জন, ১৯ আগস্ট ৪৬জন, ২০ আগস্ট ৩৬জন এবং রোববার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২২জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালসহ নগরী ও উপজেলার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত আরও অনেক রোগী ভর্তি রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আক্রান্ত এসব রোগীর মধ্যে অনেকের শরীরে কলেরার জীবাণু পাওয়া গেছে। আক্রান্তদের অধিকাংশই নগরীর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের ইপিজেড, হালিশহর, পতেঙ্গা, কাট্টলী, সল্টগোলা এলাকার বাসিন্দা। নগরীর দক্ষিণ অংশে ওইসব এলাকাগুলোতে খাবার পানি থেকে এ রোগ ছড়াতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। প্রথমে হালকা জ্বর ও বমির সঙ্গে শুরু হচ্ছে ডায়রিয়া। স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খেয়েও ভালো হচ্ছেন না অনেকে। পরে তাদের হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মামুনুর রশিদ বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে ২০-২২ ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়। কিন্তু গত ৭ দিন ধরে হাসপাতালে বেশি ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছে। তাই হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কয়েক রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রোগীদের থেকে নমুনা নিয়ে প্রতিদিনই যে পরীক্ষা করা হচ্ছে তাতে ২৮ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৩৮ শতাংশ পর্যন্ত কলেরা শনাক্ত হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকার রোগী বেশি।’ তিনি বলেন, হাসপাতালের আসা অধিকাংশ রোগী অতিরিক্ত খারাপ অবস্থা নিয়ে আসছেন। তাদের প্রচন্ড পানিশূন্যতা রয়েছে। অনেককে একসাথে ৪টি স্যালাইন পুশ করতে হয়েছে। তবে হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জাম ও ব্যবস্থা আছে। আমাদের ভালো ম্যানেজমেন্ট ও ট্রিটমেন্টের কারণে রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে যাচ্ছেন। বর্তমানে বিআইটিআইডি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৫৫জন রোগী। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত শুক্রবার থেকে সরকারের রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে পাঠানো সাত সদস্যের একটি দল চট্টগ্রামে অবস্থান করছে। ওই দলে আছেন আইইডিসিআরের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. মো. ওমর ফারুক, এফইটিপিবি ফেলো ডা. সোনাম বড়ুয়া ও ডা. ইমামুল মুনতাসির, সহকারী সার্জন ডা. সাদিয়া আফরীন ও ডা. মো. আনোয়ার হোসেন, মো. আজিজুর রহমান ও মো. আমিরুল ইসলাম। তারা ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলো থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী ও স্বজনদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, ‘ডায়রিয়া পানিবাহিত রোগ। নির্দিষ্ট কয়েকটি এলাকায় কী কারণে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে; তা নির্ণয়ে আইইডিসিআর থেকে পাঠানো টিম কাজ করছে। ইতিমধ্যে ওনারা সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। আরও দুদিন নমুনা সংগ্রহ করবেন। নমুনাগুলো পরীক্ষানিরীক্ষার পর বিস্তারিত জানা যাবে।’ আইইডিসিআর টিমের সদস্য ডা. সোনাম বড়ুয়া বলেন, ‘শনিবার থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করছি। এরপর আইইডিসিআর’র ল্যাবে পরীক্ষা করার পর ডায়রিয়ার কারণ জানা যাবে। নমুনা সংগ্রহ করতে কতদিন সময় লাগে তা এখন বলা যাচ্ছে না। নমুনা সংগ্রহ শেষ হওয়ার পর আমার ঢাকায় ফিরে যাবো। পরে ফল জানাবো।’ চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ‘ডায়রিয়া আক্রান্তের জন্য ওয়াসার পানি দায়ী নয়। ওয়াসার পানি পরিশুদ্ধ করে সরবরাহ করা হয়। অন্য কোনও কারণে আক্রান্ত হতে পারে তারা। নগরীর কিছু এলাকার লোকজন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জেনে আমরা ওয়াসার সব পাইপলাইন ঠিক আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখেছি। আমাদের পাইপলাইনের কিংবা পানির কোনও সমস্যা নেই। পানির মান ঠিক আছে। আমরা পানি পরীক্ষা করে দেখেছি। পানিতে কোনও জীবাণু পাওয়া যায়নি। যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা টিউবওয়েলের কিংবা ড্রামভর্তি পানি কিনে পান করেন। বিভিন্ন ভবনের নিচে পানির রিজার্ভ টাংকি রয়েছে। সম্প্রতি জোয়ারের পানি উচ্চতা বাড়ায় বিভিন্ন এলাকার পানির রিজার্ভ টাংকিতে জোয়ারের পানি ঢুকে গেছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী উপকূলীয় এলাকার। # ২১.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #