চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে চড়া সবজি ও আমিষের বাজার

চট্টগ্রাম নগরের বাজারগুলোয় সবজির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় সবজিভেদে কেজিতে দাম বেড়েছে ৫–১০ টাকা। বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টিতে কৃষকদের ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাজারে সরবরাহ কম, তাই দামও বেশি।

শুক্রবার নগরের চকবাজার, কর্ণফুলী কমপ্লেক্স বাজার ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সবজিভেদে দাম বেড়েছে ১৫–২০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি চিচিঙ্গা, ঝিঙে, ধুন্দুল ও কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার আশপাশে। প্রতি কেজি বেগুন, শসা, ঢ্যাঁড়স ও পটোলের দাম চাওয়া হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা।

এ ছাড়া টমেটো বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। তবে বাজারে কিছুটা কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় অন্তত ৫০ টাকা কমে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকায়।

চট্টগ্রাম নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি সবজি বিক্রেতা নুরুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামের চকরিয়া, দোহাজারীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নগরের পাইকারি আড়তগুলোয় সবজি আসে। সেখানে সাম্প্রতিক বন্যায় কৃষকদের বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে সবজির বাজার চড়া কিছুটা। অধিকাংশ সবজি পাইকারি পর্যায়ে ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ পাইকারি পর্যায়ে ৫৪ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এর প্রভাব নেই খুচরায়। খুচরায় দাম এখনো ৬৫ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে।

আমিষের বাজারও চড়া
বাজারে প্রাণিজ আমিষের মধ্যে কেবল ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমতির দিকে। গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ টাকা কমে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ব্রয়লার। তবে এখনো প্রতি কেজি সোনালি ও ব্রয়লারের দাম ৩০০ টাকার আশপাশেই রয়েছে। এ ছাড়া প্রতি হালি ডিম বিক্রি হয়েছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়।

এ ছাড়া হাড়ছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৯৫০ থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায়। প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে খাসির মাংস।

মাছের বাজারে আকারভেদে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহেই দাম ছিল ৮৫০ থেকে ১ হাজার ৪৫০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া অন্যান্য মাছের মধ্যে মাঝারি আকারের রুই ও কাতলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ থেকে ৩০০, কোরাল ৬৫০ ও লইট্টা ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

বাজার নিয়ন্ত্রণে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মূল্যতালিকা দেওয়া হলেও এসব তালিকা হালনাগাদ করা হয় না বাজার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। জানতে চাইলে সংস্থাটির চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মোর্শেদ কাদের প্ বলেন, প্রতিটি বাজারের কমিটিগুলোর পক্ষ থেকে তালিকা হালনাগাদের জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে তাদের অনীহা দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে বাজার পর্যবেক্ষণ করা হবে।