চলমান সংবাদ

চলতি মাসের ২৭ দিনেই আগের দুই মাসের পুরো সময়ের চেয়ে রেমিটেন্স বেড়েছে

বিদেশি মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ আসা কমে যাচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরে, তার মধ্যে আশার আলো দেখা দিয়েছে এই অক্টোবরে।

চলতি মাসের ২৭ দিনে যে পরিমাণ রেমিটেন্স ব্যাংকিং চ্যানেলে এসেছে, তা আগের মাসের ৩০ দিনেও আসেনি। আবার পুরো অগাস্টেও সেই পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠাননি প্রবাসীরা।

রোববার প্রবাসী আয়ের যে হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক- তাতে দেখা যায়, অক্টোবরের ২৭ দিনে দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স এসেছে ১৬৪ কোটি ৯২ লাখ ডলার।

এর আগে পুরো গত সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স আসে ১৩৪ কোটি ৩৪ লাখ ডলার; গত অগাস্টে এ পরিমাণ ছিল ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার।

অর্থ্যাৎ সেপ্টেম্বরে গড়ে প্রতিদিন বিদেশি মুদ্রা এসেছে চার কোটি ৪৮ লাখ ডলার, অগাস্টে এর পরিমাণ ছিল পাঁচ কোটি ১৬ লাখ ডলার। বিপরীতে চলতি মাসে গড়ে প্রতিদিন এসেছে প্রায় ছয় কোটি ১১ লাখ ডলার।

গত জুন মাসে ঈদের সময় প্রায় ২২০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে আসে, যা এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কিন্তু এরপর ধারাবাহিকভাবে কম থাকলে উদ্বেগ তৈরি হয়। সেপ্টেম্বরের ১৩৪ কোটি ৩৪ লাখ ডলার ছিল ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিটেন্স।

ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণ চুক্তিতে শর্ত দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ।

জনশক্তি রপ্তানির পরিমাণ বাড়লেও প্রবাসী আয়ের একটি বড় অংশ হুন্ডিতে আসায় রেমিটেন্স কমছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

অর্থপাচারেও এ হুন্ডি ভূমিকা রাখছে-এমনটায় বলে আসছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কর্মকর্তারা।

নতুন সিদ্ধান্তে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠালে প্রবাসীরা প্রতি ডলারে ১১৫ টাকা ৫০ পয়সার বেশি পাবেন। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনা দিয়ে রেমিটেন্স পর্যায়ে ডলারের নতুন এ দর ঠিক করেছে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)।

২০২২–২৩ অর্থবছরে প্রবাসীরা সব মিলিয়ে ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছিলেন, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি।

রেমিটেন্স বাবদে ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার। তার আগে অর্থবছরে এসেছিল ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।