বাংলাদেশিসহ ৩৪৭ অভিবাসনপ্রত্যাশী ইটালিতে

বুধবার রাতে কয়েকশ মানুষকে নিয়ে একটি মাছ ধরার নৌকা দ্বীপে পৌঁছায়৷ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৫ মিটার লম্বা নৌকাটিতে ৩৪৭ জন মানুষ গাদাগাদি করে ছিলেন৷ লিবিয়ার জুয়ারা থেকে যাত্রা করেছিল নৌকাটি৷ সেখানে বাংলাদেশি ছাড়াও মিশর, পাকিস্তান ও সিরিয়ার নাগরিকেরা ছিলেন৷ ৩৪৭ জনের মধ্যে মাত্র দুই জন নারী, বাকিরা সবাই পুরুষ৷

তবে কতজন বাংলাদেশি ওই নৌকায় ছিলেন, সেই সংখ্যাটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷

বুধবার রাতে লাম্পেদুসায় আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীরা বলেছেন, জোয়ারা থেকে লাম্পেদুসা পর্যন্ত এ যাত্রার জন্য তাদের প্রত্যেককে পাচারকারীদের হাতে আট হাজার ইউরো করে দিতে হয়েছে৷ বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় দশ লাখ টাকার সমপরিমাণ৷

সমুদ্র অনুপযোগী নৌকায় জীবনের ঝুঁকি জেনেও মানব পাচারকারীদের হাতে বিপুল অর্থ তুলে দেয় অভিবাসনপ্রত্যাশীরা৷ দশ বছর আগে এই অক্টোবরেই, লাম্পেদুসার কাছে দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় শত শত অভিবাসী মারা গেছেন৷

অভিবাসী আসা কিছুটা কমেছে

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, লাম্পেদুসার অভ্যর্থনাকেন্দ্রে এখন ৩৫৬ জন অভিবাসী আছেন৷ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যারা এই দ্বীপে আসেন তাদের দ্রুত সিসিলিতে বা ইটালির মূল ভূখণ্ডে স্থানান্তর করা হয়৷

গত মাসে, অভিবাসীদের উপচে পড়া ভিড়ে লাম্পেদুসায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ৷ বিপুলসংখ্যক অভিবাসী আসা শুরু করলে ইটালির সঙ্গে থাকা সীমান্ত বন্ধ করে দেয় ফ্রান্স এবং জার্মানি৷ ওইসময়ে মাত্র একদিনে এসেছিলেন পাঁচ হাজারেরও বেশি অভিবাসী৷ তাদের বেশিরভাগই আসেন টিউনিশিয়ার উপকূল থেকে৷

টিউনিশিয়ার উপকূল থেকে ইটালির ছোট্ট দ্বীপ লাম্পেদুসা দূরত্ব মাত্র ১০০ নটিক্যাল মাইল (১৮৫ কিলোমিটার)৷ ফলে, আফ্রিকা থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে লাম্পেদুসা হলো ইউরোপে ঢোকার প্রথম পয়েন্ট৷

অনিয়মিত অভিবাসীদের ইটালির ঢোকা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসেন প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনি৷ বুধবার তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরের অক্টোবরে অভিবাসী আসার সংখ্যা প্রথমবারের মতো কমেছে৷

তিনি বলেন, ‘‘সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা কাজে দিতে শুরু করেছে৷’’

ইটালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ নৌকায় চেপে ইটালি পৌঁছেছেন৷