চলমান সংবাদ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

-দুই শিক্ষককে চেয়ার থেকে উঠিয়ে দিয়ে বসানো হলো ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদককে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ছয়টি আবাসিক হল ও ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবন এলাকায়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ছয়টি আবাসিক হল ও ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবন এলাকায়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ছয়টি হল ও ওয়াজেদ মিয়া গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষকেরা বসে ছিলেন সামনের সারির চেয়ারে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান (সোহেল) ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান (লিটন) সেখানে আসেন। তাঁদের সামনের দিকের সারিতে বসাতে দুই শিক্ষককে তাঁদের চেয়ার থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠান শুরুর ২৪ মিনিট পর প্রায় ২০ জন নেতা-কর্মী নিয়ে মিলনায়তনে উপস্থিত হন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর। ততক্ষণে মিলনায়তন অতিথি এসে ভরে যায়। পরিপূর্ণ হলরুমে জায়গা না পাওয়ায় দুই নেতাকে সামনের দিকের সারিতে জায়গা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় মিলনায়তনে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পরে প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ ও দর্শন বিভাগের দুজন প্রভাষককে তৃতীয় সারির চেয়ার থেকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুরকে বসার জায়গা করে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান নিজেই বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পরে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আসেন। তখন সামনের দিকে জায়গা ছিল না। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা দাবি করেছিল, যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রাম, প্রধানমন্ত্রী যদি ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলতে চান। তাই তাঁদের যেন স্ক্রিনে দেখা যায় এমন জায়গায় বসার ব্যবস্থা করার জন্য। তখন সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে আমার খুবই কাছের দুজন শিক্ষককে অনুরোধ করে অন্য জায়গায় বসানোর ব্যবস্থা করি। আর ওই তৃতীয় সারিতে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে বসতে দিই।

ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান অবশ্য ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সামনের দিকে তৃতীয় সারিতে জায়গা পেয়ে বসেছিলাম। ওখানে শিক্ষক বসা ছিল নাকি শিক্ষার্থী বসা ছিল, সেটা তো আমরা জানি না।’