চলমান সংবাদ

সম-অধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই বেগবান করতে রোকেয়ার আদর্শ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সামিল হোন- বেগম রোকেয়া স্মরণে নারী মুক্তি কেন্দ্রের আলোচনাসভায় নারী নেতৃবৃন্দ

সম-অধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই বেগবান করতে রোকেয়ার আদর্শ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সামিল হোন- বেগম রোকেয়া স্মরণে নারী মুক্তি কেন্দ্রের আলোচনাসভায় নারী নেতৃবৃন্দ

নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া  সাখাওয়াৎ হোসেনের ১৪৩তম জন্ম ও ৯১তম মৃত্যু বার্ষিকী (৯ডিসেম্বর) উপলক্ষ্যে গতকাল ৮ ডিসেম্বর,২০২৩ইং বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলার  উদ্যোগে আলোচনা সভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলার আহবায়ক আসমা আক্তারের সভাপতিত্বে ও কমিটির সদস্য তোফাতুল জান্নাত পুতুলের পরিচালনায় সংগঠন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয়  সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিমা আক্তার বিউটি, জেলা সংগঠক রিপা মজুমদার।

সভায় বক্তারা বলেন,সমাজে নারীকে মানুষের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য রোকেয়া নিরলস কাজ করে গেছেন। তিনি বুঝেছিলেন শিক্ষার মাধ্যমেই কেবল নারীজীবনের  অন্ধকার কাটানো সম্ভব। তাই শিক্ষাকে হাতিয়ার করে তিনি নারীদের জাগাতে চেয়েছেন।পাশাপাশি নারী সম্পর্কে পুরুষদের পিছিয়ে পড়া দৃষ্টিভঙ্গি দূর করতে নানাভাবে যুক্তি উপস্থাপন করে গল্প, উপন্যাস,প্রবন্ধ লিখেছেন। নারীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেছেন,”বহুকাল হইতে নারীহৃদয়ের উচ্চবৃত্তিগুলি অঙ্কুরে বিনষ্ট হওয়ায় নারীর অন্তর,বাহির  মস্তিষ্ক,হৃদয় সবই “দাসী “হইয়া পড়িয়াছে।এখন আর আমাদের হৃদয়ে স্বাধীনতা, ওজস্বিতা বলিয়া কোন বস্তু নাই এবং তাহা লাভ করিবার প্রবৃত্তি পর্যন্ত লক্ষিত হয় না!..  প্রথমে জাগিয়া উঠা সহজ নহে, জানি;সমাজ মহা গোলযোগ বাধাইবে জানি।… কিন্তু সমাজের কল্যাণের নিমিত্তে জাগিতে হইবেই।বলিয়াছি ত কোন ভালো কাজ অনায়াসে করা যায় না।কারামুক্ত হইয়াও গ্যালিলিও বলিয়াছিলেন,কিন্তু যাহা হউক পৃথিবী ঘুরিতেছে।আমাদিগকেও বিবিধ নির্যাতন সহ্য করে জাগিতে হইবে।”

বক্তারা আরো বলেন,“রোকেয়ার জীবন সংগ্রাম আজও প্রাসঙ্গিক।আজ নারী একদিকে পুঁজিবাদী শ্রম শোষণের শিকার,অন্যদিকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজকাঠামোয় অবরূদ্ধ।পুঁজিবাদ মুনাফার প্রয়োজনে নারীকে বাজারের পণ্যে পরিণত করেছে।নারীধর্ষণ-নারী নির্যাতন-সহিংসতা-নারীপাচার ক্রমাগত বাড়ছে।এর থেকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা।সমাজতান্ত্রিক রাশিয়া বিপ্লবের পরপরই নারীর সমকাজে সমান মজুরি,সমমর্যাদা,মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ সমঅধিকার আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত করেছিলো।মানবসভ্যতার কলন্ক পতিতাবৃত্তি দূর করে সামাজিকভাবে পুনর্বাসন করা হয়েছিলো।সন্তান লালনপালন, রান্নাঘর ও গৃহকর্মেই নারীজীবনের বড় অংশ ব্যয় হয়। রাশিয়ায় এ চাপ থেকে নারীকে মুক্ত করতে রাষ্ট্রীয় খরচে চাইল্ড কেয়ার সেন্টার, যৌথ রান্নাঘর,যৌথ ধোলাইখানা ইত্যাদি নানা রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক  আয়োজন গড়ে তোলা হয়েছিলো।”

নেতৃবৃন্দ বলেন,এমনি অবস্থায় নারী সমাজের প্রতি আমাদের আহ্বান -আসুন আমরা সবাই রোকেয়ার জীবন সংগ্রাম থেকে শিক্ষা নিয়ে সমমর্যাদা ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই বেগবান করি।পুঁজিবাদী শোষণ ও পুরুষতান্ত্রিক নিপীড়নসহ সকল প্রকার দমন- নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলি।”

# সংবাদ-প্রেস বিজ্ঞপ্তি