চলমান সংবাদ

ফরাসি নির্বাচনে বামপন্থিদের জয়জয়কার

বামপন্থিদের অপ্রত্যাশিত জয়ের পথে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের সিদ্ধান্ত

প্রথম রাউন্ডের ভোটের পরে অনেকেই আশা করেছিলেন যে, ফ্রান্সের সাধারণ নির্বাচনে দক্ষিণপন্থিরা বড় সংখ্যায় জয়ী হবে। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষে দেখা যাচ্ছে, সমস্ত পূর্বাভাস ভুল প্রমাণ করে বামপন্থিরা জয়ের পথে রয়েছে। বুথ ফেরত সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, বামপন্থিরা পেতে পারে ১৮৭ থেকে ১৯৮টি আসন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর দলের নেতৃত্বে তৈরি জোট, যা পেতে পারে ১৬১ থেকে ১৬৯টি আসন। তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে অতি দক্ষিণপন্থি দল এনআর, যা পেতে পারে ১৩৫ থেকে ১৪৩টি আসন।

ত্রিশঙ্কু পার্লামেন্টের সম্ভাবনা

বামপন্থিরা সর্বোচ্চ আসন পেলেও সরকার গঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে না। ৫৭৭ আসনের ফরাসি পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য প্রয়োজন ২৮৯টি আসন। বুথ ফেরত সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, বামপন্থিরা সেই সংখ্যায় পৌঁছাতে পারবে না। ফলে ত্রিশঙ্কু পার্লামেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ফ্রান্সের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী গাব্রিয়েল আটাল জানিয়ে দিয়েছেন, ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরেই তিনি পদত্যাগ করবেন।

প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর কঠিন সময়

প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর দল সেন্ট্রিস্ট বা মধ্যপন্থি হিসেবে পরিচিত। প্রথম রাউন্ডের ভোটের পর বামপন্থিদের একটি অংশের সঙ্গে জোট গঠন করে, যা দ্বিতীয় রাউন্ডের পর ১৬১ থেকে ১৬৯টি আসন পেতে পারে। অপরদিকে, বামপন্থি দলগুলির জোট ন্যাশনাল পপুলার ফ্রন্ট দুশটি পর্যন্ত আসন পেতে পারে। কোনো বিশেষজ্ঞ এই ফলাফল পূর্বাভাস করতে পারেননি।

দক্ষিণপন্থিদের প্রত্যাশার বিপর্যয়

মারিন লে পেনের অতি দক্ষিণপন্থি এনআর পার্লামেন্টে সর্বোচ্চ আসন পাবে বলে মনে করা হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটের পর দেখা যাচ্ছে তারা তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে। চতুর্থ স্থানে রয়েছে রিপাবলিকানরা, যাদের পেতে পারে ৬৩টি আসন।

২০২৭ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় আছেন মাক্রোঁ। তবে আগামী আড়াই বছর তার জন্য সহজ হবে না। বামপন্থিদের সঙ্গে মাক্রোঁর নীতির অনেক ফারাক রয়েছে। যদি পার্লামেন্টে বামপন্থি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন, তাহলে পদে পদে বাধা পেতে হবে মাক্রোঁকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গত কয়েকবছরে মাক্রোঁর জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমেছে এবং এবারের নির্বাচনে তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে।

# ৮ জুলাই ২০২৪