চলমান সংবাদ

বাংলাদেশিসহ দক্ষিণ এশীয়দের পাচারে জড়িত চক্র ভেঙে দিল লাটভিয়া

বেলারুশ সীমান্তে টহলরত লাটভিয়ান ন্যাশনাল আর্মড ফোর্সেস (এনএএফ) এর একজন সৈনিক। ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরের ফাইল ছবি। ক্রেডিট: ইপিএ/ভালদা কালনিনা।

রাশিয়া-বেলারুশ সীমান্তে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত ও আফগান অভিবাসীদের পাচারে জড়িত একটি চক্র ভেঙে দিয়েছে বলে দাবি করেছে লাটভিয়া কর্তৃপক্ষ৷ আটককৃত সন্দেহভাজনেরা লাটভিয়ার নাগরিক বলে জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৪ জুলাই) প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লাটভিয়া বর্ডার গার্ড জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) একাধিক অভিযানে চার লাটভিয়ান নাগরিককে আটক করা হয়েছে৷ ২৭ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে রাশিয়া ও বেলারুশ সীমান্ত দিয়ে লাটভিয়ার ভূখণ্ডে বেআইনিভাবে প্রবেশে সহায়তার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে৷

বিবৃতি অনুসারে, মঙ্গলবার প্রথম অভিযানটি পরিচালিত হয় পূর্ব লাটভিয়ার অগসদাউগাভা কাউন্টিতে। ওই সময় সীমান্তরক্ষীরা একটি ক্রিসলার গ্র্যান্ড ভয়েজার ব্র্যান্ডের গাড়িতে তল্লাশির সিদ্ধান্ত নেন৷ একজন লাটভিয়ান গাড়িটি চালিয়ে আসছিলেন।

গাড়ি তল্লাশির পর সেখান থেকে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ১৬ জন ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ১৩ জন পাকিস্তানের, দুইজন আফগানিস্তানের এবং একজন ভারতীয় নাগরিক৷ তাদের কাছে কোন প্রকার বৈধ ভিসা বা ভ্রমণনথি ছিল না।

এই অভিযানের কিছুক্ষণ পরে তদন্ত কর্মকর্তারা সীমান্তে অনিয়মিত অভিবাসীদের সহায়তা প্রদানের সন্দেহে অগসদাউগাভা কাউন্টির একটি বাড়ি থেকে আরও দুই লাটভিয়ান নাগরিককে আটক করেন৷

ওই বাড়ি থেকে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের আরও ১১ জনকে খুঁজে পায় কর্তৃপক্ষ। তারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিক। তাদেরকে পাচারের উদ্দেশ্যে বাড়িটির নীচের অংশে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে৷

লাটভিয়ার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অপরাধ তদন্ত বিভাগের প্রধান মারিস পুকিনস্কিস ইউরো নিউজকে বলেন, “অভিবাসীরা তালাবদ্ধ ছিল৷ তদন্তের সময় আমরা জানতে পেরেছি অপরাধীরা অভিবাসীদের ফোন এবং টাকা চুরি করেছিল৷’’

অপরদিকে, দেশটির পূর্ব কালুপে অঞ্চলের একটি খামারে আরেকটি অভিযান চালিয়ে অন্য দুই লাটভিয়ান নাগরিককে অভিবাসী পাচারে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার করে।

বর্ডার গার্ড জানিয়েছে, “বাড়িটি এবং বেসমেন্টটি দেখে মানবপাচারে জড়িত থাকার সন্দেহ হবে না৷ তারা তাদের দোষ অস্বীকার করে যাচ্ছে৷ আটককৃতরা এই মুহূর্তে সাক্ষ্য দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে। তারা একজন আইনজীবীর সহায়তার জন্য অনুরোধ করেছে।”

পড়ুন:  রোমানিয়া: প্রথম ছয় মাসে হাজারের বেশি আশ্রয় আবেদন

আটক হওয়া চার ব্যক্তি ও এক চালকের বিরুদ্ধে লাটভিয়ার আইন অনুসারে অভিবাসী পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ এ চক্রটির কার্যক্রম পুরোপুরি ভেঙে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী৷

এমএইউ/এফএস (ইউরো নিউজ)