শপথ নিলেন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক -পেলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক–ই–আজম বীরপ্রতীক। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
বঙ্গভবনের দরবার হলে জাতীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে এই শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের পর শুরু হয় শপথগ্রহণ পর্ব। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের এবং পরে গোপনীয়তা রক্ষার শপথ নেন ফারুক–ই–আজম। শপথ গ্রহণ শেষে শপথ বইয়ে সই করেন নতুন উপদেষ্টা।
ফারুক–ই–আজমকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গতকাল শপথ নেওয়ার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তাকে দপ্তর দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
ছাত্র–জনতার গণ আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ অগাস্ট নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু হয়। সেদিন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ১৩ জন উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে শপথ নেন। তারা হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ফরিদা আখতার, নুরজাহান বেগম, শারমিন মুরশিদ, সালেহউদ্দিন আহমেদ, এম সাখাওয়াত হোসেন, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, এএফ হাসান আরিফ, মো. তৌহিদ হোসেন এবং আ ফ ম খালিদ হাসান। ১৭ সদস্যের এই অন্তর্বর্তী সরকারের তিনজন ঢাকার বাইরে থাকায় তারা সেদিন শপথ নিতে পারেননি। তাদের মধ্যে সুপ্রদীপ চাকমা ও অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় গত রোববার শপথ নেন।
অপারেশন জ্যাকপটে অংশ নেওয়া ফারুক–ই–আজম বীরপ্রতীক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে গত রোববার রাতে তিনি দেশে ফেরেন। তার শপথের মধ্য দিয়ে ১৭ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের সবার শপথগ্রহণ হল।