চলমান সংবাদ

বিজ্ঞান ভাবনা (১৬৩): জাতীয় সংগীতের অবমাননা কি আইনত দ্বন্দ্বনীয়?

-বিজন সাহা

বিজন সাহা (

কথায় বলে যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ। অথবা এমনও হতে পারে ক্ষমতা এমনই এক জিনিস যে সেখানে যাকেই বসান হোক না কেন দু দিন আগে হোক আর দু দিন পরে হোক সবাই ক্ষমতার আজ্ঞাবাহী ভৃত্য বনে যায়।  ফলে সুশাসনের যত অঙ্গীকার নিয়েই কেউ ক্ষমতায় আসুক না কেন দু দিন পরেই সে বাধ্য হয় আগের পথেই চলতে। তাই যদিও সবাই নতুন বোতলে পুরানো মদ দেখে অভ্যস্ত এক্ষেত্রে আমরা পাই পুরানো বোতলে নতুন মদ – দোষে গুণে ঠিক আগেরটার মতই।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতারা এসেছিল দেশ বদলাতে – হ্যাঁ, দেশ বদলাচ্ছে, তবে যেটা বদলানো দরকার ছিল সেটা বদলাচ্ছে না, বদলে যাচ্ছে নেমপ্লেট। আর আগের সরকারের মতই কয়েক দিন পর পর একটি নতুন ইস্যু সৃষ্টি করে জনগণকে রেসের ঘোড়ার মত দৌড়ের উপর রাখছে। আর আমরাও ফুটবলের মত এ পা ও পা হয়ে মাঠের মধ্যে ঘুরেই যাচ্ছি কোন মতেই গোলবারে ঢুকতে না পেরে।

বেশ কয়েকদিন হল সামনে চলে এসেছে জাতীয় সঙ্গীত ইস্যু। এটা অবশ্য নতুন কিছু নয়। কেন যেন এই জাতীয় সঙ্গীত কোন ভাবেই একদল লোককে ঘুমুতে দেয় না যদিও এরাই অভিযোগ করে “আমার সোনার বাংলা” শুনলে তাদের ঘুম এসে যায়। এই গানের সুর, তার জাতীয় সঙ্গীত হবার ইতিহাস নিয়ে অনেকেই লিখেছেন, লিখছেন। তাই সেই আলোচনায় যাব না। তবে এ কথা বলব যে এর সুর বাংলার মানুষের মনের ভেতর থেকে উঠে আসা বাউলের সুর। আর তাই একাত্তরে শ্রমিক কৃষক অশিক্ষিত মানুষ এই গান গেয়েই যুদ্ধ করেছে শত্রুর বিরুদ্ধে। যুদ্ধের সময় আমরা নিজেরাও এই গান গেয়েছি। যদি ঘুমই পাড়ায় তাহলে এই গান গেয়ে মানুষ এত শক্তি পেল কোথায় যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রায় খালি হাতে জিতে এলো! চিৎকার করে বললেই শুধু প্রতিবাদ হয় না, অনেক সময় মৃদু স্বরেও অনেক বেশি প্রতিবাদী হয়ে ওঠা যায়।

আমি পরিবর্তনে বিশ্বাসী, পরিবর্তন আমার পেশা। কারণ বিজ্ঞানী মানেই সেই নতুন কিছুর সন্ধান করে। তবে সেই পরিবর্তন শুধু পরিবর্তনের জন্য হলেই চলবে না, সেটার পেছনে যৌক্তিক কারণ থাকতে হবে। বর্তমানে যে কারণগুলো দেখানো হচ্ছে সেটা মূলত বিদ্বেষ থেকে, দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে নয়। কিসের বিদ্বেষ? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের প্রতিনিধি নন – সেটাই মূল কথা। আর এটাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে হাজারটা মিথ ও মিথ্যা। তাহলে কি আমরা মিথ্যার উপর ভিত্তি করে যাত্রা শুরু করব? দ্বিজাতিতত্ত্ব ছিল সেরকম এক মিথ্যা – আমরা জানি তা কোন দিকে নিয়ে যায় একটি দেশ ও জাতিকে।

ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদ থেকেই বাংলাদেশের জন্ম, ভাষার জন্য আমরা জীবন দিলাম, একুশে ফেব্রুয়ারিকে আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস করলাম – অথচ সেই ভাষার শ্রেষ্ঠ কবি লেখকদের আমরা নিজেদের করে নিতে পারলাম না। আমরা বিভিন্ন অজুহাতে রবীন্দ্রনাথদের দূরে সরিয়ে রাখি। কখনও সেটা করি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়, কখনও ধর্মীয় উন্মাদনায়। কোথায় এর বীজ? এর মূল কারণ ১৯৪৭ সালে ভারত ভেঙে বেরিয়ে এলেও না পাকিস্তান, না বাংলাদেশ কেউই সেখান থেকে ঠিক বেরিয়ে আসতে পারেনি। এই দুই দেশের প্রায় সবকিছু হচ্ছে ভারতকে ঘিরে, ধর্মকে ঘিরে। একই কথা বলা যায় ভারতের ক্ষেত্রেও। ভারত আর পাকিস্তান হল সিয়ামিজ ট্যুইন। শরীর আলাদা হলেও পারস্পরিক বিদ্বেষ এদের কমন অঙ্গ। বাংলাদেশ হল অস্ত্রপচারের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে জন্ম নেয়া নতুন সত্ত্বা। তবে তিনটি দেশই এক অদৃশ্য সূতায় গাঁথা – সেখানে যেমন ভালোবাসা আছে তেমনি আছে ঘৃণা। এই ভালোবাসা ও ঘৃণার জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করে এদের পারস্পরিক সম্পর্ক। তাই এই এলাকার যেকোনো আলোচনায় ইচ্ছা অনিচ্ছায় ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান – সবাই চলে আসে – শুরু হয় জল্পনা কল্পনা। অথচ আমরা যদি অন্যদের আলোচনায় না এনে শুধু নিজেদের নিয়েই ভাবতে পারতাম অনেক সমস্যাই এড়িয়ে যাওয়া যেত। যেমন ধরুন প্রায়ই ভারত বয়কটের কথা ওঠে। আসুন প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ভারত সম্পর্কে কথা বলা বাদ দেই। যাকে বলে টোটাল ইগনোর। আমার ধারণা আমরা এটা পারব না, কারণ ভালো হোক মন্দ হোক ভারত সম্পর্কে দুটো কথা না বললে অনেকের পেটের ভাত হজম হবে না। একই কথা বলা যায় পাকিস্তান সম্পর্কে। ফলে আমাদের সমস্ত ব্যর্থতার জন্য আমরা আত্মসমালোচনার পথে না গিয়ে ভারত বা পাকিস্তানের অদৃশ্য হাত খুঁজি। ওদের হাত যে নেই সেটা বলব না, তবে সমস্যা সমাধানের জন্য অন্যের হাত খোঁজার চেয়ে নিজের হাতকে শক্তিশালী করা অনেক বেশি জরুরী।

কয়েক দিন আগে ঢাকা ভার্সিটিতে কাওয়ালী গানের আয়োজন হয়েছে বলে জানা গেল। আবার বাংলাদেশীদের জন্য পাকিস্তান ভিসা ফ্রি করে দিয়েছে অথবা উঠিয়ে দিয়েছে এ রকম খবরও শোনা গেল। তাহলে কি বাংলাদেশ পাকিস্তান হয়ে যাচ্ছে? – এ প্রশ্ন অনেকের মনে। একজন তো ফোন করে জিজ্ঞেসই করল। ওকে উত্তর দিতে গিয়ে মনে হল বাংলাদেশ আর পাকিস্তান এক অদ্ভুত সম্পর্কে জড়িত। এটা অনেকটা দুইজনের প্রেম, প্রেম থেকে বিয়ে তারপর সংসার। প্রেমের সময় যেটা হয় – সমান অধিকার, একে অন্যের পাশে দাঁড়ানো, একে অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করা। কিন্তু বিয়ের পরে দেখা গেল প্রেমের চেয়েও ধর্মীয় আচার আচরণ বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। তাছাড়া প্রেম হয় এক ছেলে আর এক মেয়ের মধ্যে। সংসার তো আর এদের দুজনকে নিয়ে নয়। বিশেষ করে আমাদের দেশে। লতায় পাতায় মিলিয়ে শত শত মানুষ। সবাই তো আর তাদের প্রেমে পড়েনি। ফলে বিয়ের পরে নানা ঝামেলা। পাত্রপাত্রীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকলে অন্যদের ম্যানেজ করে নিতে পারে, এক সময় সবাই সবার প্রেমে পড়ে যায়। সংসারে শান্তি আসে। তবে আমাদের এই পাত্রপাত্রীর ক্ষেত্রে সেটা ছিল না। দুদিন যেতে না যেতেই এক জন আরেক জনের উপর কর্তৃত্ব দেখাতে শুরু করে। ভেঙে যায় স্বপ্ন, ভেঙে যায় সংসার। অনেকেই এরপর নতুন করে জীবন গড়ে তোলে, সফল হয়। আগের সব সুখ আর দুঃখের স্মৃতিকে সরিয়ে রেখে ভবিষ্যত গড়ে তোলে। কিন্তু এরকমও হয় যে জীবনে সাফল্য লাভ করার পরেও অনেকেই প্রথম প্রেমের কথা ভুলতে পারে না। তাদের জীবনে সব কিছুই হয় আগের প্রেমিক প্রেমিকাকে ঘিরে। কখনও একজন আরেক জনকে দেখিয়ে দিয়ে চায়, সব কিছুর মূলে থাকে প্রতিশোধ। আবার কখনও পুরানো দিনে ফিরে যাবার অদম্য আকাঙ্ক্ষা। অন্য দিকে যার কারণে সংসার ভাঙে সেও ভাবে ইস আর একবার যদি সুযোগ পেতাম তাহলে ভালোবাসার প্রমাণ করতাম। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অনেকেই সেভাবেই ভাবে। বাংলাদেশের কিছু লোক মনে করে পাকিস্তানকে অনেক শিক্ষা দেয়া হয়েছে, এখন আবার এক সাথে শুরু করলে আগের ভুলগুলো আর হবে না। পাকিস্তানের অনেকেই মনে করে যদি বাংলাদেশকে সত্যি বোঝা যায়, তার অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানো হয়, তাহলে  আগের ভুল শোধরানো যাবে, নতুন করে সবাই মিলে সুখী হওয়া যাবে। কিন্তু সমস্যা হল ১৯৪৭ সালে দুজনেই আনকোরা ছিল, দুজনে একই জায়গা থেকে শুরু করেছিল। দাঁড়ানোর জন্য, বেড়ে ওঠার জন্য দুজনেরই পরস্পরের সাহায্য দরকার ছিল। এখন তারা অনেক অভিজ্ঞ, নিজেরাই নিজেদের সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম। ক্ষমতা এমন এক জিনিস যা একবার হাতে পেলে কেউ আর ছাড়তে চায় না। ছোট হলেও এখন দুই সংসারের দুই কর্তা। এক হলে কাউকে নিজের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। সেটা কি এতই সহজ? তবে এখন চকলেটটা, বিস্কুটটা দিয়ে মন ভলানোর চেষ্টা চলবে। বাংলাদেশে পাকিস্তানের এজেন্ট ইসলামী দলগুলো। তারা স্বাভাবিক ভাবেই গান বাজনার বিরোধী। তবে এখন এসব করছে। কেন? আমাদের ভোলাতে চাইছে। ক্ষমতা হারানোর পরে সব শাসকই ভাবে আবার ক্ষমতায় গেলে জনগণের কথা শুনব, তাদের অধিকারের প্রতি সচেতন হব, কিন্তু একবার ক্ষমতায় গেলে সে আবারো শাসক আর শোষকই হয়। মানুষের প্রতি প্রেম থাকলে তারা নিশ্চয়ই দুই দেশে আটকে পড়া বাঙালি ও বিহারীদের কথা ভাবত, তাদের অবস্থার উন্নতির মধ্য দিয়ে শুরু করত যাত্রা, সেই সাথে একাত্তরের গণহত্যার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা, ক্ষতিপূরণ দেয়া এসব তো আছেই। বর্তমানে যা চলছে এটা ঐক্যের কথা নয়। হয়তো অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রশ্নে যেমন পররাষ্ট্রনীতি, প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক এসব প্রশ্নে তারা পরস্পরের সাথে পরামর্শ করবে, কিন্তু ভেঙে যাওয়া সংসার জোড়া লাগার সম্ভাবনা দেখি না। তাছাড়া এর সাথে অনেক অন্তর্জাতিক প্রশ্ন জড়িত। যেমন এখন জাতি সংঘে দুই দেশের দুই ভোট, তখন হবে এক ভোট। ক্রিকেট – দুই দেশ এক হলে দল গঠন নিয়ে কত সমস্যা হবে সেটা ভাবা যায়? যদি সেনাবাহিনীর কথা ভাবি, এখনও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে পাঞ্জাবীদের আধিপত্য বেশি। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কি সেটা মেনে নেবে? বাংলাদেশের সেনাপ্রধান কি চাইবেন অন্যের অধীনে কাজ করতে। একই বিষয় গোয়েন্দা বাহিনীতে। আসলে জীবনের সর্ব স্তরেই দেখা যাবে স্বার্থের দ্বন্দ্ব। আর এই দ্বন্দ্ব হবে একাত্তরের চেয়ে শত গুন তীব্র। বিশেষ করে বাংলাদেশ যখন বিভিন্ন সুচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে, প্রমাণ করেছে সে নিজেই সফল হতে পারে পাকিস্তানী প্রভুদের ছাড়াই। তাই কিছু লোক আবেগের বশে পাকিস্তান চাইলেও বা পাকিস্তানের সাথে মিশে যেতে চাইলেও বাস্তবে সেটা সম্ভব নয়। সবচেয়ে বড় কথা সেটা দুই দেশের উন্নতির পথে বাধা। এত গেল পজিটিভ দিক। নেগেটিভ দিকও কম নয়। দুই দেশেই বেকার প্রচুর। মৌলবাদীদের সংখ্যাও কম নয়। তাছাড়া পাকিস্তান প্রায় ব্যর্থ এক রাষ্ট্র। অচল পাত্র। বাংলাদেশ পাত্রী হিসেবে শুধু যোগ্যই নয়, স্বয়ংসম্পূর্ণ। অর্থাৎ দুই দেশেরই সমস্যা এত বেশি যে এদের মেলালে সমস্যা কমবে না, এমনকি  সমস্যা দুই দেশের সমস্যার যোগফলের সমান হবে না, হবে তারচেয়ে কয়েকগুণ বেশি। যারা এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় তারা যদি এসব দিক একটু ভেবে দেখে তাহলে আমি এদের দৈহিক মিলনের সম্ভাবনা দেখি না। আর মানসিক মিলনের? মানুষ নিজের সাথেই নিজে একাত্ম হতে পারে না, সেখানে দুটো দেশ কীভাবে পারবে? আবেগ দিয়ে প্রেম করা যায়, সংসার করা যায় না। জীবনের রুঢ় বাস্তবতা হচ্ছে প্রেম থাক আর নাই থাক আমাদের খেতে হয়, পরতে হয়, ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ গড়তে হয়। আর ভারত? যদি ভারত আমাদের গ্রাস করে ফেলে যেমনটা অনেকেই বলে? করবে না। আবারও সেই আন্তর্জাতিক বাধানিষেধ সামনে চলে আসবে। এইতো রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করল বা বলা যায় ক্রিমিয়ার প্রায় শতভাগ মানুষ ভোট দিয়ে রাশিয়ার সাথে যোগ দিল। সেখানকার মানুষ আজও ইউরোপ আমেরিকায় যেতে পারে না, ভিসা পায় না। তাছাড়া মানুষের মত দেশও পরকীয়া সম্পর্কে বেশি আগ্রহী। বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নেয়া যায় অথচ দায়িত্ব নিতে হায় না। সেটা শুধু ভারত নয় পাকিস্তানের সাথেও হতে পারে। অর্থাৎ সরকার নিজদের স্বার্থে কারো সাথে ঢলাঢলি করবে, কারো প্রতি কপট রাগ বা অভিমান দেখাবে। কিন্তু নিজের দেশের স্বার্থে অবিচল থাকবে। অবিচলতার পূর্ব শর্ত এই মুহূর্তে জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা ইত্যাদি নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করা। বিভিন্ন দেশেই জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা বা রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতীকের প্রতি অবমাননা দ্বন্দ্বনীয় অপরাধ। আমাদের দেশে বিভিন্ন সময় জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি করা হয় সেটা কি আইনত দ্বন্দ্বনীয়? হলে এই আলোচনা কিভাবে চলে সেই প্রশ্নটাই রাখছি।

পড়ুন:  বিজ্ঞান ভাবনা (১৬২): কুরস্ক -বিজন সাহা  

যদিও পাঞ্জাব, কাশ্মীর, সিন্ধু আর বেলুচিস্তানের (বাংলা বা বঙ্গ নেই সেখানে) নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে পাকিস্তান নামের উৎপত্তি বলে অনেকেই বিশ্বাস করে, তবে পাক বা পবিত্র শব্দ থেকেই পাকিস্তান (পবিত্র ভূমি) নাম এসেছে বলে মৌলানা আজাদ লিখেছেন। বর্তমান পাকিস্তান তার নামের সাথে আদৌ যায় কি? তাই দেশের নাম, জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা এসব পরিবর্তনের চেয়েও নিজেকে পরিবর্তন করা অনেক বেশি জরুরী। যদি বদলাতেই চান তাহলে নিজেকে দিয়ে শুরু করুন, ঘুষ দুর্নীতিকে না বলুন, কোন অনুভূতির দোহাই দিয়ে খুন আর লুটতরাজ বন্ধ করুন। দেখবেন তাহলেই আর এসব বিষয় আপনার ভাবনাকে আচ্ছন্ন করে রাখবে না।

গবেষক, জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ
শিক্ষক, রাশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি, মস্কো