সমন্বয়কদের নিরাপত্তা ইস্যুতে পুলিশের চিঠি পাঠানো নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছে
রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনের লক্ষ্য নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রোববার জাতীয় নাগরিক কমিটি নামে আত্মপ্রকাশ করার পরদিনই কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফর শুরু করেছে। এ সফরকে ঘিরে তাদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সদর দপ্তরের এক চিঠিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
যদিও রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে রুপ নিলেও এখনই কোন রাজনৈতিক দল গঠন করেনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া এই প্ল্যাটফর্মের দুইজন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে এবং একজন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসাবে রয়েছেন। নিয়মানুযায়ী, নিরাপত্তাসহ রাষ্ট্রীয় পদের প্রাপ্য সকল সুবিধাদি পাবেন তারা।
কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্য কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের রাজনৈতিক প্রচারণার সফরে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা দেয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজনৈতিক অ্যাকটিভিস্ট হলেই কি মিলবে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা?
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা এবং ভিআইপি সংস্কৃতি বৈষম্য সৃষ্টির কারণ উল্লেখ করে সমন্বয়করাই সেই বৈষম্য সৃষ্টির কারণ হচ্ছেন এমন প্রশ্ন উঠেছে। এর ফলে ফ্যাসিবাদ এখনো শেষ হয় নি বলেও শঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক প্রচারণার সময় রাষ্ট্রীয় পরিচালনায় নিরাপত্তার এমন উদ্যোগের ফলে বিগত সরকারকে সমালোচনা করে যে আন্দোলন হয়েছে সেটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে। ওই সরকারের সাথে কোন পার্থক্য থাকবে না বলে মনে করছেন তারা।
পুলিশ সদর দপ্তর কাকে চিঠি দিয়েছে ?
গত আটই সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি নাসিয়ান ওয়াজেদের স্বাক্ষর সংবলিত একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত তোলপাড় তুলেছে।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিরাপত্তা দিতে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশের এই চিঠির উপরে লেখা রয়েছে অতীব জরুরি / গোপনীয়।
চিঠির বিষয়বস্তু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কবৃন্দের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে সফরে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
এতে বলা হয়েছে, আটই সেপ্টেম্বর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কবৃন্দ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে সফর করবেন বলে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের সফর উপলক্ষ্যে নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সমন্বয়কদের সাথে সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
চিঠিটি র্যাবের মহাপরিচালক, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি, টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজি, রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজির কাছে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলার পুলিশ সুপার ও অফিসার ইনচার্জদের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
অর্থাৎ সমন্বয়কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদর দপ্তর নিজেদের বিভিন্ন শাখার কাছে এ নির্দেশ পাঠিয়েছে। জেলা প্রশাসকদের কোন চিঠি দেয় নি।
সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এআইজি এনামুল হক সাগর বিবিসি বাংলাকে বলেন, “ জেলা প্রশাসকদের তো চিঠি দেয়া হয় নি। চিঠি দেয়া হয়েছে পুলিশের ইউনিটগুলোকে। এখানে একটা জায়গায় লেখা হয়েছে প্রয়োজনে প্রশাসক মহোদয় এবং সমন্বয়ক যারা আছেন তাদের সাথে সমন্বয় করে নেয়ার জন্য। তার মানে তো এই না যে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেয়া হয়েছে”।
কেন নিরাপত্তা দিতে হবে সমন্বয়কদের ?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতিদিনের সফর সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানানো হয়। কোন জেলায় কবে এবং সভার স্থান সম্পর্কেও জানিয়ে দেয়া হয়।
সোমবার নরসিংদীতে কে কে ইন্সটিটিউশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে মত বিনিময় সভা হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন যমুনা টেলিভিশনের ভিডিওতে দেখা যায়, সেখানে সমন্বয়কদের দলীয় কোন্দলের কারণে সভা না করেই ফিরে আসেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম। এ সময় সেনা সদস্যদের তাকে নিরাপত্তা দিতে দেখা যায়।
সমন্বয়কদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের এই চিঠি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা করছেন অনেকেই।
ফেসবুকে মারুফ আলম নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, “সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নাই সেখানে সমন্বয়কদের জন্য রাষ্ট্রীয় প্রটোকল”।
জিয়া হাসান নামে আরেকজন ব্যক্তি ফেসবুকে লিখেছেন, “ নাহিদ ইসলাম, মাহফুজ আব্দুল্লাহ এবং আসিফ মাহমুদ রাষ্ট্রীয় পদবি ধারণ করেন। রাষ্ট্র তাদের পূর্ণ নিরাপত্তা দিবে। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কেরা রাজনীতি করবেন, জেলায় জেলায় গিয়ে রাজনৈতিক প্রচারণা চালাবেন, সেইটার নিরাপত্তার খরচও রাষ্ট্র দিবে। কেন? উনারা কি সরকার?”
আরো নানা প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন তিনি।
সমন্বয়কদের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ যা বলছে
পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এআইজি এনামুল হক বিবিসি বাংলাকে বলেন, “পুলিশের মূল কাজ হচ্ছে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং নিরাপত্তার বিষয়গুলিকে দেখা। যখনই কোন ধরনের কোন ইভেন্ট থাকে বা মুভমেন্ট থাকে অথবা কোন ধরনের প্রোগ্রাম থাকে সেই বিষয়গুলিকে আমরা নিরাপত্তার নিরিখে দেখে থাকি”।
এই চিঠি পুলিশের একটি নিয়মিত কার্যক্রমেরই অংশ বলে জানান তিনি।
“শুধু এটা না, যে কোন ক্ষেত্রে নিরাপত্তা যাতে এনশিওর করা যায় সেজন্য কিন্তু মাঠ পর্যায়ে আমাদের সময় সময় নির্দেশনা দেয়া হয়ে থাকে। এটা সেরকমই একটি বিষয়”।
“হেডকোয়ার্টারস থেকে প্রতিনিয়তই আমাদের ইউনিটগুলোকে বিভিন্ন ধরনের চিঠি ইস্যু করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য বা গুরুত্ব দেয়ার জন্য। এটি তেমনই একটি চিঠি। আমাদের রেগুলার কর্মকাণ্ডেরই অংশ” বলেন মি. হক।
সমন্বয়করা কী বলছেন?
বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় সফরের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা নিরাপত্তা চেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেয় নি পুলিশ।
বরং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার অংশ হিসেবেই পুলিশ এ চিঠিটি দেয়া হয়েছে বলে জানান মি. হক।
তিনি বলেন, “ পুলিশের কাজই হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং কোথাও যেন কোন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিঘ্ন না হয় সেটা লুক আফটার করা। সেজন্য পুলিশ সময় সময় বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে থাকে এটি তেমনই একটি বিষয় ”।
এদিকে, ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড প্রোফাইল থেকে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কোন নিরাপত্তা চান নি বলে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
“ আমরা কোন রাষ্ট্রীয় সফরে আসি নি। আমরা রাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিক হিসেবে ছাত্র – জনতার কাছে এসেছি। একজন সাধারণ নাগরিক যেমন নিরাপত্তা পায়, আমরাও তেমন নিরাপত্তা চাই। এর বেশি নয়। এই নোটিশের বিষয়ে আমরা অবগত নই; কিংবা সরকারের কাছে আমরা এমন কিছু চাইনি” লিখেছেন মি. আব্দুল্লাহ।
একইসাথে ওই নোটিশও সংযুক্ত করে দিয়েছেন মি. আব্দুল্লাহ।
কমেন্ট সেকশনে মি. আব্দুল্লাহ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, “ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আপামর ছাত্র সমাজ ও জনগণের প্ল্যাটফর্ম। ছাত্র -জনতাই আমাদের ভরসা ও নিরাপত্তা। সারা দেশের ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে আমরা যে সফর শুরু করেছি, তা ছাত্র-জনতার সহযোগিতা ও অংশগ্রহণেরই সফল হবে। এজন্য আমাদের কোন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই”।
“ ছাত্র -জনতাই আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। ছাত্র-জনতার প্রতি আমাদের আহ্বান, সকল বিভ্রান্তি ও মনোমালিন্য দূরে সরিয়ে রেখে দেশ পুনর্গঠনে সংহতি ও ঐক্য বজায় রাখুন” লিখেছেন মি. আব্দুল্লাহ।
রাজনৈতিক কর্মী হলেই নিরাপত্তা দিতে হবে কেন ?
রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আত্মপ্রকাশের পরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এমন সমালোচনার মুখোমুখি হলেন।
বাংলাদেশের আইনানুযায়ী, কোন নাগরিক শঙ্কা প্রকাশ করে নিরাপত্তা চাইলে তা নিশ্চিত করতে বাধ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
একইসাথে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও যদি মনে করে তবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারবে বলে দেশের বিভিন্ন আইনে বলা হয়েছে।
পুলিশের সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বিবিসি বাংলাকে বলেন, “যখনই যে চাইবে, যে কোন নাগরিক তাদের যদি প্রটেকশনের জন্য দরখাস্ত দেয় বা বলে অথবা কর্তৃপক্ষের কাছে মনে হয় যে তাদের প্রোটেকশন দেয়া দরকার পুলিশ দেবে”।
সমন্বয়কদের ‘কালেক্টিভ আইডেন্টিটি’ উল্লেখ করে তাদের নিরাপত্তা বেশি প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন মি. হুদা।
তিনি বলেন, “ সমন্বয়ক বলে আলাদা কোন কথা নেই। সমন্বয়করা একটা কাজ করে, তাদের একটা কালেক্টিভ আইডেন্টিটি আছে। সেখানে অন্যদের তুলনায় প্রয়োজনটা বেশি হবে এবং তাদের নিরাপত্তা দেয়াতো কাজই পুলিশের। তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে”।
সমন্বয়করা নিরাপত্তা চায় নি তাহলে কেন নিরাপত্তা দিতে হবে এমন প্রশ্নে মি. হুদা বলেন, “নিরাপত্তা দেয়া এবং অপরাধ প্রতিরোধ করা এগুলা পুলিশের আইন মোতাবেক কাজ। আমার কাছে যদি প্রতীয়মান হয় কারো নিরাপত্তা দেয়ার দরকার আছে তাহলে আমি দেব”।
“ এখন কেউ যদি মনে করে নিরাপত্তা দরকার নাই সেটা তার ব্যাপার। কিন্তু কোন ঘটনা ঘটলে তখন দায়দায়িত্ব তো পুলিশ বাহিনীর উপরে আসবে। অতএব পুলিশ যদি স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে করে, দে আর পারফেক্টলি রাইট” বলেন মি. হুদা।
রাজনৈতিক কর্মী হোক বা না হোক যে কোন নাগরিকের নিরাপত্তা প্রয়োজন হলেই পুলিশকে তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান মি. হুদা।
“আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজই হচ্ছে প্রিভেন্টিভ করা। আইনের বইতে বলা আছে পুলিশের একটা কাজ প্রিভেন্টিভ করা। পেনাল কোড, সিআরপিসিতেই এ বিষয়ে উল্লেখ করা আছে” বলেন মি. হুদা।
‘ক্ষমতার কাছে নতি স্বীকারের প্রক্রিয়া’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে প্রকাশের পর রাষ্ট্রীয় পরিচালনায় নিরাপত্তার এমন উদ্যোগে সমালোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক রাশেদা রওনক খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, “তাহলে বিগত সরকারকে সমালোচনা করে যে আন্দোলন হলো, সেই সরকারি পদ্ধতির সাথে এ পদ্ধতির তফাৎ কী রইলো?”
এ প্ল্যাটফর্মের শিক্ষার্থীরা ছাত্র-জনতার অংশ উল্লেখ করে মিজ খান বলেন, “ তারা একটা পপুলার গোষ্ঠীরই অংশ। তাদের কেন নিরাপত্তা লাগবে?”
“ তবে যেহেতু তারা একটা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে সেহেতু নিরাপত্তার একটা বিষয় আছে। কিন্তু সেটা রাষ্ট্রীয় পরিচালনায় হওয়ার ক্ষেত্রে কিছুতো সমালোচনার জায়গা তৈরি হবে, এটা তারা মাথায় রাখছে কিনা এটাও বিষয়।”
স্বতঃস্ফূর্তভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের এ উদ্যোগকে বাহিনীগুলোর আবারও ক্ষমতার কাছে নতি স্বীকারের প্রবণতা বলে মনে করেন মিজ খান।
“ এর মানে হচ্ছে আবার সেই ক্ষমতার কাছে বা রাজনীতির কাছে নতি স্বীকার করার একটা প্রবণতা যদি বাহিনীগুলোর থাকে তাহলে এই রাষ্ট্র সংস্কার করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে”।
এর ফলে যে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের কথা বলছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে বলে মনে করেন মিজ খান।
# জান্নাতুল তানভী, বিবিসি নিউজ বাংলা, ঢাকা