চলমান সংবাদ

বিলস-ডিজিবি প্রকল্পের সফল সমাপনী

– শ্রমিক সংগঠনগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আউটপুট ইউজার্স কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

বিলস এর আউটপুট কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করছেন বিলস এর মহাসচিব নজরুল ইসলাম খান।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ -বিলস এর অধীনে চলমান বিলস-ডিজিবি প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ৯ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার চট্টগ্রামের হোটেল সেন্ট মার্টিনে আউটপুট ইউজার্স কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিলস এর মহাসচিব নজরুল ইসলাম খান। তিনি শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “শ্রমজীবী মানুষের সংগঠিত হওয়ার কোন বিকল্প নেই।” তিনি আরও বলেন, “ট্রেড সংগঠনগুলোকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে, যাতে তারা তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমে কোন ধরনের সঙ্কটের মুখোমুখি না হয়।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বিলস-ডিজিবি প্রকল্পের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং এর মাধ্যমে ফেডারেশন ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ হলেও সংগঠনগুলোর কাজ অব্যাহত থাকবে। নজরুল ইসলাম খান ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান, যারা দক্ষ নেতৃত্ব হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন, তাদেরই যেন আগামী দিনে নেতৃত্বের সুযোগ দেয়া হয়।

বিলস এর নির্বাহী পরিচালক এবং সদ্য গঠিত শ্রম অধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে বলেন, “শ্রমজীবী মানুষ আগে শুধু তাদের দাবি জানাতো, এখন তাদের সরাসরি সুপারিশ করার সুযোগ এসেছে। এটি তাদের জন্য একটি চমৎকার সুযোগ, যা কোনোভাবেই হাতছাড়া করা যাবে না।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিলস এর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেসবাহ উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ফেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ফসিউল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম শ্রম দপ্তরের পরিচালক গিয়াস উদ্দিন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক শিপন চৌধুরী, টিউসি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি তপন দত্ত এবং ইপসার কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ আলী শাহিন।

কনফারেন্সের শুরুতে অনুষ্ঠান পরিচিতি উপস্থাপন করেন বিলস-ওশ সেন্টার কো-অর্ডিনেটর ফজলুল কবির মিন্টু।

বিলস-ডিজিবি প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সাল থেকে শ্রমিকদের সহায়তায় কাজ শুরু হয়। প্রথম ধাপে “লেবার রিসোর্স অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টার” (এলআরএসসি) প্রতিষ্ঠা করা হয়, যেখানে শ্রমিকদের বিভিন্ন সহায়তা এবং তথ্য প্রদান করা হয়। পরবর্তী ধাপে, নারী ও যুব শ্রমিক নেতাদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ে কাজ শুরু হয়, যার ফলে এলআরএসসি চট্টগ্রামে একটি সফল তথ্য কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এটি শ্রমিক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক এবং সিভিল সোসাইটির অন্যান্য সংস্থাগুলির জন্য একটি নির্ভরযোগ্য তথ্য উৎস হিসেবে কাজ করছে।