চট্টগ্রামে হোটেল ও রেস্টুরেন্ট শ্রমিকদের মাসিক মজুরি ২০ হাজার টাকাসহ ন্যায্য দাবির সমর্থনে সমাবেশ ও মানববন্ধন
আজ বিকেল ৩টায় চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড় মোড়ে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় এক সমাবেশ এবং মানববন্ধন। এতে হোটেল ও রেস্টুরেন্ট শ্রমিকদের মাসিক মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, রেশনিং প্রথা চালু, নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র ও সবেতন ছুটি প্রদান এবং শ্রমিকদের জন্য ন্যায্যমূল্যের দোকান স্থাপনের দাবির পক্ষে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ মোঃ হানিফ এবং সঞ্চালনা করেন টিইউসি কেন্দ্রীয় সংগঠক ফজলুল কবির মিন্টু। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি, শ্রমিক অধিকার কমিশনের সদস্য এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন সম্মুখ সারির যোদ্ধা বীরমুক্তিযোদ্ধা তপন দত্ত। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু আহাম্মদ মিয়া, জাতীয় শ্রমিক লীগের নাসরিন আক্তার, জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল চট্টগ্রাম মহানগ্র যুব কমিটির সভাপতি হাসিবুর রহমান বিপ্লব, বিএফটিইউসির কে এম শহিদুল্লাহ, বিজেএসএফ এর জাহেদ উদ্দিন শাহিন, বিএমএসএফ এর মোঃ ইদ্রিস, জেএসজে’র শাহানা আক্তার, বেসরকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রহিম,, হাল্কা মোট যান শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ আলমগীর প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তপন দত্ত বলেন, “১৯৭১ সালে সংগঠিত স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে সর্বশেষ ২০২৪ পর্যন্ত সকল গণতান্ত্রিক এবং মুক্তির সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকরা সবসময় তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। শ্রমিকদের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাঁদের ন্যায্য মজুরি, সাপ্তাহিক ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সকলকে একত্রিত হয়ে আন্দোলন জোরদার করতে হবে।”
এছাড়া, অন্যান্য বক্তারা বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের জন্য ২০১৭ সালে নির্ধারিত ৩৭১০ টাকার মজুরি অত্যন্ত অপ্রতুল এবং তা শ্রমিকদের জীবনযাত্রার জন্য অপর্যাপ্ত বলে উল্লেখ করেন। তারা হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট শ্রমিকদের জন্য নতুন নিম্নতম মজুরি কাঠামো মাসিক মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা করার দাবি জানান। শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কার্যকরী ভূমিকা পালনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, শ্রম আইনের আওতায় শ্রমিকদের সকল অধিকার নিশ্চিত করা এবং তাঁদের জীবনমান উন্নত করার জন্য সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপের বিকল্প নেই।