বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তি বিষয়ে প্রস্তাব বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের
![](https://www.bssnews.net/bangla/assets/news_photos/2025/02/09/image-177636-1739102753.jpg)
বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তি মামলা পূর্ব মধ্যস্থতা ও মামলা পরবর্তী মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে পরিচালনার কার্যপ্রণালীসহ অন্যান্য পদ্ধতিগত বিষয় নির্ধারণের জন্য একটি বিধিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গত বুধবার হস্তান্তর করা হয়।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন।
পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংস্কার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
মোট ২৮ দফা প্রস্তাবের ১৭ নম্বরে রয়েছে আইনগত সহায়তার সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত অংশটি।
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বিষয়ে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে প্রস্তাবে বলা হয়েছে- মামলা পূর্ব মধ্যস্থতা ও মামলা পরবর্তী মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে পরিচালনার কার্যপ্রণালীসহ অন্যান্য পদ্ধতিগত বিষয় নির্ধারণের জন্য একটি বিধিমালা প্রণয়ন করা। মধ্যস্থতাকারীদের ফি পরিশোধের বিধান ও নিয়মাবলি সম্বলিত নীতিমালা প্রণয়ন করা।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের জনবল কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। অবিলম্বে বাংলাদেশ আইন কমিশনের প্রস্তাবিত সালিস আইনের সংশোধনীগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে সালিসের মূল ধারণা, তথা সালিস আইন, ২০০১ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক আইন ও বিধানগুলোকে (যেমন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩-এর ৪০ ধারা, গ্যাস আইন, ২০১০ ও বিদ্যুৎ আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারা এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১-এর অধীনে প্রদত্ত লাইসেন্সগুলোর বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত বিধান) সংশোধন করা যাতে বাণিজ্যিক সালিসের সুযোগ সংকুচিত না হয়।
সালিস আইন, ২০০১ এর অধীনে পরিচালিত সালিসের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় কার্য-পদ্ধতি নির্ধারণ করে বিধিমালা প্রণয়ন করা। এডিআর বিষয়ে ব্যাপক প্রচার ও সচেতনতা বৃদ্ধি।