বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতাদের উদ্যোগে নতুন ছাত্রসংগঠন গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বিকেলে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের একটি অংশ। তারা ঘোষণা করেছেন, নতুন একটি ছাত্রসংগঠন গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার নাম এবং আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের তারিখ এখনও জানানো হয়নি। তবে, সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে তারা।
নতুন সংগঠনটি হবে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র, এবং এর মূল নীতি হবে ‘স্টুডেন্টস ফার্স্ট’, ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’। সংগঠনটি কোন রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করবে না এবং এর নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সংগঠনটির উদ্দেশ্য হলো ছাত্র এবং নাগরিকের স্বার্থকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া এবং সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বের বাইরে গিয়ে মধ্যমপন্থী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা।
সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানানো হয় যে, আগামী দিনে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের মতামত নিতে জনমত জরিপ এবং সদস্য সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচারণা চালানো হবে। তবে, সংগঠনের নাম এবং আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বিষয়ে কোনো স্পষ্ট তথ্য এখনও দেওয়া হয়নি। সাবেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার এবং আবদুল কাদেরকে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বে রাখার কথা বলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী নেতারা জানিয়েছেন, সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য হবে গণতন্ত্রের চর্চা এবং শিক্ষার্থীদের ক্ষমতায়ন। তারা জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি তৈরি করতে চান, যেখানে সকলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে। সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করবে এবং নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন অব্যাহত রাখার জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এই সংগঠনের আদর্শগত ভিত্তি হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সব গণ-আন্দোলন, এবং তার মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যত রাজনীতিতে একটি নতুন দিশা দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে।