চট্টগ্রাম হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়নের মানববন্ধন ও সমাবেশে -পবিত্র রমজান মাসে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করা ও ২০ রমজানের মধ্যে ঈদ বোনাস প্রদানের দাবি
আজ দুপুর ৩টায় হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়নের মানববন্ধন ও সমাবেশ চট্টগ্রাম প্রবর্তক মোড়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোঃ হানিফ, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলে কমিটির সভাপতি এবং শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তপন দত্ত এছাড়া বক্তব্য রাখেন টিইউসি কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক ফজলুল কবির মিন্টু, চট্টগ্রাম হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মোতালেব, মোঃ রিয়াজ, বেসরকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মোঃ মিজান, নারী নেত্রী রুমি আক্তার, নির্মাণ শ্রমিক ইমান আলী প্রমুখ।
মানববন্ধন ও সমাবেশে বলা হয় প্রতি বছর রমজান মাসে দিনের বেলায় হোটেল বন্ধ রাখার অজুহাতে শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়। ফলে প্রতি বছর রমজান মাসে হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে। পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপন করা কঠিন পড়ে। সুতরাং এই বছর যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয় সেই ব্যাপারে মালিক পক্ষের প্রতি আহবান জানানো হয় এবং একই সাথে ২০ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের ঈদ বোনাস প্রদানের দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট খাতে শ্রমিকদের জন্য ২০১৭ সালে ঘোষিত নিম্নতম মজুরি ৩৭১০ টাকা পরিবর্তন করে নতুন
করে নিম্নতম মজুরি কাঠামো ঘোষণার দাবি জানিয়ে বলেন, বর্তমান বাজার দর বিবেচনায় শ্রমিকদের মাসিক নিম্নতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা জরুরি। তাঁরা আরও বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় শ্রমিকদের জীবনযাত্রা সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। শ্রমিকেরা যে মজুরি পায় তা দিয়ে ১০ দিনও চলা যায় না।
সমাবেশে রেশনিং ব্যবস্থা প্রণয়ন করে ন্যায্যমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের দাবি তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি শ্রম আইন মেনে শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র প্রদান এবং সাপ্তাহিক ও উৎসব ছুটিসহ সকল সবেতন ছুটি বাস্তবায়নে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কার্যকরী ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশের প্রধান অতিথি তপন দত্ত বলেন, ১৯৭১ সালে জীবনের ঝুকি নিয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলাম একটি শোষনমুক্ত ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য। স্বাধীন দেশে কেউ ঈদের বাজার করার জন্য সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক যাবে আর কেউ টাকার অভাবে ঈদ করতে পারবে না এমন বৈষম্য মেনে নেব না। তিনি আরো বলেন, যদি কোন হোটেল মালিক যদি শ্রমিক ছাঁটাই করে এবং ঈদের বোনাস না দেয় তাহলে ঐ হোটেলে অবস্থান করেই সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ করতে হবে। সমাবেশ শেষে লাল পতাকা সম্বলিত একটি মিছিল নগরীর বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিন শেষে চকবাজারে গিয়ে শেষ হয়।