un

কমরেড তাজুল ইসলামের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রমিক আন্দোলনের পুনর্জাগরণের শপথ

বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনে অমর অবদানের জন্য স্মরণীয় কমরেড তাজুল ইসলামের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ এক আলোচনা সভা শ্রমিকনেতা আনিসুর রহমান বাবুলের সভাপতিত্বে এবং টিইউসি চট্টগ্রাম জেলা যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার কামাল খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শহীদ তাজুল ইসলামের আদর্শকে ধারন করে শ্রমিক আন্দোলনকে তার কাঙ্ক্ষিত পথে ফিরিয়ে আনার শপথ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ছাত্র কমরেড তাজুল, যিনি নিজে অনেক সম্ভাবনাময় পথ ছেড়ে শ্রমিকদের পক্ষে কাজ করার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তার সংগ্রাম আজও শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাসে অবিস্মরণীয়। ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ তাজুল ইসলামকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলেও তার আদর্শ আজও শ্রমিকদের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি করে চলছে। তার মৃত্যুর পর, ১৯৮৪ সালে তৎকালীন স্বৈরশাসক এরশাদ শ্রমিকদের সঙ্গে চুক্তি করতে বাধ্য হন, যার ফলশ্রুতিতে শ্রমিকদের দুইটি উৎসব বোনাস এবং সরকারী শ্রমিকদের জন্য মজুরি কমিশন এবং বেসরকারী শ্রমিকদের জন্য মজুরি বোর্ড গঠিত হয়।

আজকের সভায় বক্তারা তার আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জানিয়ে বলেন, ৯০ পরবর্তী শ্রমিক আন্দোলন ক্রমশ পথ হারিয়েছে এবং শ্রমিকরা আজও তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বর্তমান সময়ে শ্রমিক আন্দোলন রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার হচ্ছে, যা তাজুলের কাঙ্ক্ষিত শ্রমিক মুক্তির আন্দোলনকে ব্যাহত করছে।

এতে টিইউসি কেন্দ্রীয় সংগঠক ফজলুল কবির মিন্টু, বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রহিম,  ইমারত নির্মাণ শ্রমিক  ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সাধারন সম্পাদক মোঃ মহিন উদ্দিন, ইমারত নির্মান শ্রমিকনেতা ইমান আলী, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক  ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার নির্বাহী সভাপতি আব্দুল হালিম, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক  ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক নূর আলমসহ অন্যান্য শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানোর, রেশনিং ব্যবস্থা প্রবর্তনের, আউটসোর্সিং ব্যবস্থা বাতিল করার এবং জাতীয় ন্যূনতম মজুরি মাসিক ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানান।

তাজুল ইসলামের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পথ পুনরায় উজ্জীবিত করার জন্য বক্তারা সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান এবং শপথ নেন—শহীদ তাজুলের কাঙ্ক্ষিত শ্রমিক মুক্তির আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।