রেহনুমার মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী ২ দিনের রিমান্ডে
গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) পাহাড়তলী সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুল আমিনের ছেলে নওশাদুল আমিনকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২ জুলাই) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালতে শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়। পাহাড়তলী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নওশাদুল আমিনের স্ত্রী রেহনুমা ফেরদৌসের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২ জুলাই) সকালে চসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আমিনের বাসা থেকে তার পুত্রবধূ রেহনুমা ফেরদৌসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কাউন্সিলর নুরুল আমিনের পরিবার এটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও রেহনুমার পরিবারের দাবি এটি হত্যাকান্ড। পুলিশ রেহনুমার মরদেহ মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় পায়। মরদেহের গলায় দাগের চিহ্ন রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এই ঘটনায় ওদিন রাতে রেহনুমার স্বামী ও শ্বাশুড়িকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন রেহনুমার বাবা তারেক ইমতিয়াজ। এই মামলায় সেদিনই গ্রেপ্তার করা হয় রেহনুমার স্বামী নওশাদুল আমিনকে। এই মামলায় এখনো পালাতক রয়েছেন কাউন্সিলর নুরুল আমিনের স্ত্রী পপি বেগম। নিহত রেহনুমা চসিক’র আলকরণ ওয়ার্ডের প্রয়াত কাউন্সিলর ও নগর আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা তারেক সোলায়মান সেলিমের ভাতিজি। রেহনুমার ২ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে শ্বশুর পক্ষের লোকজন নিয়মিত রেহনুমাকে নির্যাতন করতো। যৌতুক ও উপহার দেয়ার জন্যই এসব নির্যাতন করতো রেহনুমার শাশুড়ি ও তার ব্যাংকার স্বামী নওশাদুল আমিন। এসব নিয়ে বিভিন্ন সময়ে পারিবারিক এবং সামাজিক বৈঠকও হয়েছে। # ০৫.০৭.২০২২ চট্টগ্রাম #