দেশের সবচেয়ে বড় বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের ৯শ’ টন যন্ত্রপাতি এলো চট্টগ্রাম বন্দরে
দেশের সর্বাধুনিক ও সবচেয়ে বড় কক্সবাজারের বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম চালানের টারবাইনের পাখাসহ ৯০০ টন যন্ত্রপাতি এসে পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেলে টারবাইনের দৈত্যাকার পাখাসহ বিপুল পরিমাণ যন্ত্রপাতির প্রথম চালান নিয়ে কসকো শিপিং লাইনের ‘শিন ডা জং’ নামের জাহাজটি বন্দরের জিসিবি-৬ জেটিতে ভিড়ে। বন্দরের শক্তিশালী টাগ বোট কান্ডারী-৮ ও ১২এর সহায়তায় প্রকল্পের যন্ত্রপাতিবাহী জাহাজটি বহির্নোঙর থেকে টেনে জেটিতে ভেড়ানো হয়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজারের বায়ু বিদ্যুত প্রকল্পের জন্য টারবাইনের শক্তিশালী পাখাসহ প্রয়োজনীয় কিছু যন্ত্রপাতি নিয়ে কসকো শিপিং লাইনের ‘শিন ডা জং’ নামের জাহাজটি বন্দরের জিসিবি-৬ জেটিতে ভিড়েছে। এ জাহাজটি চীন সরকারের মালিকানাধীন একটি জাহাজ। বিদ্যুৎকেন্দ্রের একেকটি উইন্ড টারবাইন প্রায় ৫০০ ফুট উঁচু। একেকটি পাখার দৈর্ঘ্য ২০০ ফুটের বেশি। ২২টি উইন্ড টারবাইনের প্রতিটিতে ৩টি করে পাখা থাকবে। জাহাজটিতে যন্ত্রপাতি ছাড়াও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ডেঞ্জারাস কার্গো রয়েছে। উল্লেখ্য, কক্সবাজারের সদর উপজেলার খুরুশকূল, পিএমখালী, চৌফলদন্ডী ও ভারুয়াখালী ইউনিয়নে ২২টি উইন্ড টারবাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তিতে ৬০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার এ প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শেষ হলে এটিই হবে দেশের সবচেয়ে বড় বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প। এর আগে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় ছোট্ট পরিসরে বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হয়েছিল। গত ৩১ মার্চ খুরুশকূল ইউনিয়নের পল্লানখালী এলাকায় এ প্রকল্পের ভিত্তিরপ্রস্তর স্থাপন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রাথমিকভাবে ৯০০ কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হলেও ব্যয় আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। এ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। খুরুশকূলের এই প্রকল্প ছাড়াও কক্সবাজারের ইনানীতে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন আরেকটি বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করা হবে। # ১৫.০৭.২০২২ চট্টগ্রাম #