চট্টগ্রাম সংবাদ
প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে : ভূমিমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উদ্যোগে শনিবার (২০ আগস্ট) সকালে নগরীর দামপাড়াস্থ পুলিশ লাইন্সের মাল্টিপারপাস ড্রিল শেডে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের জন্য যা দিয়ে গেছেন আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ প্রতিদিন বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের জন্য দোয়া করা। এই শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।’ সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়ের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিন আখতার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম নগর শাখার কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল দুলু। শোক দিবসের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) এম এ মাসুদ, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) আ স ম মাহতাব উদ্দিনসহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সিএমপি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। সভার শুরুতে ১৫ আগস্টে শহীদ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় উপস্থিত বক্তব্যে অতিথিবৃন্দ মহান মুক্তিযুদ্ধে ও স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। # ২০.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #
চট্টগ্রামের পরীর পাহাড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে বাধা দেয়ার অভিযোগ
চট্টগ্রামের আদালত পাড়া খ্যাত পরীর পাহাড়ের নিরাপত্তা বিধানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে আইনজীবী সমিতি বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যামেরাগুলো মেরামত এবং পুরাতন জরাজীর্ণ ক্যাবলগুলো পরিবর্তনের কাজ করার সময় ঠিকাদার কোম্পানিকে ৫-৭ জন আইনজীবী বাধা দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পরীর পাহাড়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় এবং আদালত প্রাঙ্গনে প্রতিদিন অসংখ্য সেবাপ্রার্থী এবং বিচারপ্রার্থীদের যাতায়ত করেন। পাশাপাশি এই পরীর পাহাড়ে সেবাপ্রার্থীদের ভিড়ে চোর, বাটপার, ছিনতাইকারী, দালালদের রয়েছে নিত্য আনাগোনা। পরীর পাহাড়ে সরকারি স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থে এবং সেবাপ্রার্থীদের সেবাপ্রদান সুষ্ঠু এবং নিরাপদ করার জন্য ১৪৮ টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু এতেও থেমে নেই দুষ্কৃতিকারীরা, কয়েকটি ক্যামেরা তারা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এছাড়া এখানে মাঝে-মধ্যেই সেবাপ্রার্থীদের টাকা চুরি বা মোবাইল ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া যায়। সর্বশেষ গত ১৭ আগস্ট সংবাদ সংগ্রহের সময় হামলার শিকার হন একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের দুই সংবাদকর্মী। এসময় তাদের মারধর করে আইনজীবীরা যা জেলা প্রশাসনের সিসিটিভি সিস্টেমের ফুটেজে ধরা পড়ে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে পরীর পাহাড় এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো নিশ্চিদ্র করার স্বার্থে শনিবার চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যামেরাগুলো মেরামত এবং পুরাতন জরাজীর্ণ ক্যাবলগুলো পরিবর্তনের কাজ করছিল স্থানীয় একটি ঠিকাদার কোম্পানি। এতে বাধা দেয় ৫-৭ জন আইনজীবী। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের আইসিটি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, পরীর পাহাড়ের নিরাপত্তা বিধানে সিসিটিভি ক্যামেরা মেরামত ও স্থাপন করতে গেলে ঠিকাদার কোম্পানিকে ৫-৭ জন আইনজীবী বাধা দেয়। পরবর্তীতে প্রস্তুতি নিয়ে আমরা সেখানে অবশ্যই সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করবো। # ২০.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #
‘ইচ্ছেমতো’ দামে ডিম বিক্রি লক্ষাধিক টাকা জরিমানা
‘ইচ্ছেমতো’ দামে ডিম বিক্রি আর মূল্য তালিকা না রাখায় চট্টগ্রামের রিয়াজুদ্দিন বাজারের তিন আড়তদার ও দুই খুচরা বিক্রেতাকে ১ লাখ তিন হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। শনিবার (২০ আগস্ট) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আড়তে ১শ পিস ডিম ৯৪০ থেকে ৯৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। নিজের ইচ্ছামত দরে ডিম বিক্রি ও মূল্য তালিকা না থাকায় তিন আড়তদারকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশপাশি বেশি দামে ডিম বিক্রি করায় একটি খুচরা ডিমের দোকানকে ৩ হাজার টাকা ও মূল্য তালিকা না থাকায় একটি মুদি দোকানদারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ক্রেতার স্বার্থে অভিযান অব্যাগত থাকবে বলে জানান তিনি। # ২০.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #
চমকে হাসপাতালে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও ২ দালাল গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে দালাল চক্রের আরও ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (২০ আগস্ট) ভোরে হাসপাতালে ৬ষ্ঠ তলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জোরারগঞ্জ থানার রাবেয়ার হাট এলাকার মেহেদী হাসান প্রকাশ তুহিন (৩২) ও ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানার মো. সৌরভ (২৮)। চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. নুরুল আশেক বলেন, আটককৃতরা হাসপাতালের দালাল চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দালালির পাশাপাশি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে আসা রোগীর স্বজনকের মূল্যবান মোবাইল ও সামগ্রী চুরি করে থাকে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন থানায় মাদক, অস্ত্র, ডাকাতি প্রস্তুতি, চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করার মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এর আগে বুধবার সকালে হাসপাতালের ৩ তলা থেকে দুজন দালালকে আটক করা হয়। সিরাজুল ইসলাম (৫০) ও সেনোয়ারা (৪০) নামে দুজনকেই ওইদিন আদালতে চালান করে দেয়া হয় বলে জানান পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল আলম আশেক। # ২০.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #
সক্ষমতা বেড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের বিশ্বের সেরা বন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দর ৬৪তম
কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে বিশ্বের সেরা ১০০ বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ৬৪তম স্থান অর্জন করেছে। ২০২১ সালের কনটেইনার পরিবহনের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এ তালিকাটি তৈরি করেছে লন্ডনভিত্তিক বন্দর বিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো সংবাদমাধ্যম লয়েডস লিস্ট। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাতে লয়েডস লিস্ট তালিকাটি প্রকাশ করে। কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে বিশ্বের ব্যস্ততম বন্দরের তালিকায় এক বছরেই চট্টগ্রাম বন্দর তিন ধাপ এগিয়ে এসেছে লন্ডনভিত্তিক শিপিং বিষয়ক লয়েডস তালিকায়। ২০২০ সালে একই তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দর ৬৭তম স্থান অর্জন করেছিল। বন্দর এবং শিপিং বিষয়ক প্রাচীনতম জার্নাল লয়েড’স লিস্ট এই তালিকা ১৮ আগস্ট রাতে প্রকাশ করেছে। প্রসঙ্গত সমুদ্র পথে দেশের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ৯৮ শতাংশ হয়ে থাকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। বাকি হয় মোংলা বন্দরে। সম্প্রতি ১০০ বন্দরের ২০২২ সালের সংস্করণ প্রকাশ করেছে জার্নালটি। এই তালিকা তৈরিতে ২০২১ সালের অভিজাত বন্দরগুলোর কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যাকে বিবেচনা করা হয়। জার্নালটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে চট্টগ্রাম বন্দর মোট ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৫৪৮ টিইইউ কনটেইনার পরিচালনা করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। যদিও এর আগের বছর ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৭ টিইইউএস কনটেইনার পরিচালনা করেছিল বন্দরে। চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, আমদানি পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ভিড়তে ২০২১-২২ অর্থবছরে একটি কন্টেইনার জাহাজকে আড়াই দিন বহির্নোঙ্গরে অপেক্ষা করতে হতো। তারপর চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে বার্থিং পেতো। আর জেটিতে পণ্য খালাস এবং রপ্তানি পণ্য বোঝাই করতে সময় লাগতো ৩ দিন বা ৭২ ঘণ্টা। কিন্তু এখন বন্দরের জেটিতে ভিড়তে কোন কন্টেইনার জাহাজকে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না। বহির্নোঙ্গরে আসার সাথে সাথে জাহাজ ভিড়ছে জেটিতে। শুধু তাই নয়, জেটিতে জাহাজ ভেড়ার পর আমদানি কন্টেইনার খালাস এবং রপ্তানি পণ্য খালাস করতে সময় লাগছে ২ দিন। চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ দিনের মধ্যে মাত্র তিন দিন বহির্নোঙ্গরে একটি করে কন্টেইনারবাহী জাহাজ বার্থিং এর অপেক্ষায় ছিলো। বাকি ১২ দিন প্রতিটি কন্টেইনারবাহী জাহাজ সরাসরি বন্দরের নির্দিষ্ট জেটিতে গিয়ে পণ্য খালাস করতে পেরেছে। গত ১৫ দিনের মাত্র চার দিন একটি করে বাল্ক কার্গো বা খোলা পণ্যবাহী জাহাজ বহির্নোঙ্গরে অপেক্ষায় ছিল। বাকি ১১ দিন সরাসরি জেটি বার্থিং পেয়েছে। বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, বন্দর গত বছর কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে করোনা মহামারীর পরে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ২০২১ সালে বন্দরে কোনো কনটেইনার বা জাহাজের জট ছিল না। গত বছর ৪৯ শতাংশ জাহাজ আসার সঙ্গে সঙ্গে বন্দরে বার্থিং পেয়েছিল। যে কারণে বন্দরকে এই ধরনের প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করেছে। বন্দর ব্যবহারকারীদের সর্বাত্মক সহযোগিতার কারণে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, গত বছর বন্দরে কোনো কনটেইনার বা জাহাজের জট ছিল না। ওই সময় ৪৯ শতাংশ জাহাজ আসার সঙ্গে সঙ্গে বন্দরে বার্থিং পেয়েছিল। যে কারণে বন্দরকে এই ধরনের প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করেছে। বন্দর ব্যবহারকারীদের সর্বাত্মক সহযোগিতার কারণে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। সামনে পতেঙ্গা টার্মিনাল চালু হবে। বে টার্মিনাল নির্মাণ হবে। তাতে ভবিষ্যতে এই বন্দর বৈশ্বিক ক্রমতালিকায় আরো এগিয়ে যাবে। বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, লয়েডস লিস্টে ২০১০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৮৮। এরপর ২০১১ সালে ৮৯তম, ২০১২ সালে ৯০তম, ২০১৩ সালে ৮৬তম, ২০১৪ সালে ৮৭তম, ২০১৫ সালে ৭৬তম, ২০১৬ সালে ৭১তম, ২০১৭ সালে ৭০তম অবস্থানে পৌঁছেছিল চট্টগ্রাম বন্দর। এরপর ২০১৮ সালে কনটেইনার পরিবহনের হিসেব করে ২০১৯ সালে প্রকাশিত তালিকায় বন্দরের অবস্থান ছিল ৬৪তম। ২০১৯ সালের হিসেবে ২০২০ সালে প্রকাশিত তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দর আরও ছয় ধাপ এগিয়ে যায়, বন্দরের অবস্থান হয় ৫৮তম। চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুনে চট্টগ্রাম বন্দর পণ্যবাহী কন্টেইনার হ্যান্ডেল করে ১ লাখ ২৯ হাজার ৯৪৪ টিইইউস কন্টেইনার। জুলাইতে হ্যান্ডেল করে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ টিইইউস। এক মাসের ব্যবধানে আমদানি পণ্যের কন্টেইনার কমে যায় ১৬ হাজার ৩৪৭ টিইইউস। ২০২২ সালের জুনে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ আসে ৩৩৮টি, জুলাইতে আসে ৩৪২টি। এর আগে ২০২১ সালের জুনে ৩০৫টি এবং জুলাইতে ২৯১টি জাহাজ এসেছিলো। চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২১ সালে জাহাজ এসেছিলো ৪ হাজার ২৩১টি। এবং কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছিলো ৩২ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৮টি। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে ৪টি কোয়ে গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ নতুন যন্ত্রপাতি যুক্ত হওয়ার ফলে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রমে সক্ষমতা আরো বেড়েছে। ইয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে গতি এসেছে। বন্দরের ইয়ার্ডে কন্টেনার রাখার স্পেস ৪৯ হাজার ১৮ টিইইউস থেকে বাড়িয়ে ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউস করা হয়েছে। ফলে জাহাজের ওয়েটিং টাইম কমে আসায় বড় ধরনের সাফল্য এসেছে। তিনি আরো বলেন, বন্দরের আমদানি পণ্যের কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জুলাই মাসে আমদানি কন্টেইনারের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তবে জাহাজ আসার পরিমাণ স্বাভাবিক রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য উঠানামার কাজে মোট তিনটি টার্মিনাল রয়েছে। এগুলো হচ্ছে জেনারেল কার্গো বার্থ (জিসিবি), চট্টগ্রাম কন্টেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) এবং নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (সিসিটি)। তিনটি টার্মিনালে ১৯টি জেটি রয়েছে। এর মধ্যে কন্টেইনার জেটি ১৩টি, বাকি ৬টি জেনারেল কার্গোর জন্য। এনসিটি এবং সিসিটি পরিচালনা করে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। # ২০.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #