চট্টগ্রাম সংবাদ
চট্টগ্রামে ২ তেল চোরকারবারি গ্রেপ্তার, সাড়ে ৬ হাজার তেল উদ্ধার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট এলাকা থেকে ৬ হাজার ৬শ লিটার চোরাই জ্বালানি তেলসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭। গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবত চোরাই জ্বালানি তেল অবৈধভাবে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে পাইকারি ও খুচরা দামে বিক্রি করে আসছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। র্যাব’র ধারণা, এই প্রক্রিয়ার পেছনে আরও বড় চক্র রয়েছে। বড় কোনো কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারীদের যোগসাজশ ছাড়া জ্বালানি তেল চুরি করে বিক্রি করা সম্ভব না। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট পাকা রাস্তা এলাকা থেকে জাহাজের তেল বিক্রি করার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- ঝালকাঠি জেলার মো. রাজিব হোসেন (২২), লক্ষ্মীপুর জেলার মো. কবির (২৬)। র্যাব জানায়, কয়েকজন চোরাকারবারী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড থানার ফৌজদারহাট এলাকার পাকা রাস্তার উপর জাহাজের চোরাই জ্বালানি তেল ক্রয়-বিক্রয় করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে অভিযান চালানো হয়। এসময় চোরাই জ্বালানি তেল বহনকারী ২টি ট্রাকসহ মো. রাজিব হোসেন ও মো. কবিরকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের স্বীকারোক্তি মতে ২টি ট্রাক থেকে ৩৩টি তেলের ড্রামে সংরক্ষিত ৬,৬০০ লিটার চোরাইকৃত জ্বালানি তেল উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, তেল বহনকারী ট্রাক দুটি জব্দ করা হয়েছে। আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে চোরাই জ্বালানি তেল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। # ২৪.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #
জঙ্গল সলিমপুরের প্রবেশমুখে প্রশাসনের সিসি ক্যামেরা-চেকপোস্ট, চার পয়েন্টের রাস্তা বন্ধ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ মামলা, আসামি ২০০
অপরাধীদের ‘অভয়ারণ্য’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুর এলাকা অবৈধ দখলমুক্ত করতে প্রশসানের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এবার গ্যাস সিলিন্ডার, নির্মাণ সামগ্রীসহ সব ধরনের অবৈধ মালামালের প্রবেশ ঠেকাতে এবার জঙ্গল সলিমপুরের প্রবেশমুখে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজও শুরু হয়েছে। এছাড়া গ্যাস পাইপ লাইন ঝুঁকিমুক্ত রাখতে ন্যাশনাল গ্যাস গ্রিড লাইনের ওপর নির্মিত জঙ্গল সলিমপুরের চার পয়েন্টের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্ব এ চেকপোস্টে সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, র্যাব, আনসার সদস্য, ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিসহ সরকারি সকল দফতরের প্রতিনিধিরা। এদিকে জঙ্গল সলিমপুরের প্রশাসনের অভিযানের প্রতিবাদে এবং পানি-বিদ্যুতের সরবরাহের দাবিতে ফৌজদারহাটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ছয়টি মামলা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা, বিশেষ ক্ষমতা আইন, বিষ্ফোরক আইনসহ বিভিন্ন ধারায় ছয়টি মামলায় ৪৫ জন এজাহারভুক্ত এবং ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাতে সীতাকুণ্ড থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করে। বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুলিশের ওপর হামলা, কর্তব্যকাজে বাধা, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিষ্ফোরক আইনে ছয়টি মামলা দায়ের হয়েছে। এতে ৪৫ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। আরও ১৪০ জন অজ্ঞাত আসামি রয়েছে। ওসি বলেন, যারা মহাসড়ক অবরোধে অংশ নিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে তারাই আসামি। তারে রাজনৈতিক সম্পৃক্ত বা রাজনৈতিক পরিচয় এখানে বিষয় নয়। এর আগে প্রশাসনের উচ্ছেদের প্রতিবাদে এবং গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর দাবিতে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে সেখানকার বাসিন্দারা। এতে যানজটে আটকা পড়ে অবর্ণনীয় দুর্দশায় পড়েন হাজার-হাজার মানুষ। এক পর্যায়ে বিকেল ৫টার দিকে স্থানীয়রা এসে অবরোধকারীদের সরে যেতে অনুরোধ করতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। জঙ্গল সলিমপুরের প্রবেশমুখে বায়েজিদ লিংক রোড সংলগ্ন এলাকায় বুধবার (২৪ আগস্ট) সকাল থেকে চেকপোস্ট এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড-কেজিডিসিএল’র উচ্চ চাপবিশিষ্ট চট্টগ্রাম রিং-মেইন গ্যাস পাইপলাইনের ওপর দিয়ে জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূল ও আলীনগর যাওয়ার বিকল্প পথগুলো বন্ধ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম বলেন, গ্যাস পাইপ লাইন ঝুঁকিমুক্ত রাখতে এবং অবৈধভাবে পাহাড় কাটা ও অবৈধ বসতি নির্মাণের কাজে ভারী যন্ত্রপাতি-ভারীযান যাতে চলাচল করতে না পারে, সেজন্য চারটি পয়েন্টে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে। চেকপোস্ট ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বিক সকল বিষয় মনিটরিং করা হবে। তিনি আরও বলেন, বায়েজিদ লিংক রোড সংলগ্ন কর্ণফুলী গ্যাস পাইপ লাইনের নিরাপত্তার স্বার্থে এ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। গ্যাস পাইপ লাইনের উপর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে ভারী যানবাহন চলাচল করছিল। চেকপোস্ট ও সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে কেজিডিসিএল’র উচ্চ চাপবিশিষ্ট চট্টগ্রাম রিং-মেইন গ্যাস পাইপলাইনের ওপর দিয়ে জঙ্গল সলিমপুর এর ছিন্নমূল ও আলীনগর যাওয়ার বিকল্প পথগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জঙ্গল সলিমপুরে প্রবেশমুখে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। সেখানে প্রবেশের সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু চেকপোস্টের রাস্তাটি খোলা থাকবে। প্রসঙ্গত, জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় সরকারি খাস জমিতে প্রশাসনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, স্পোর্টস ভিলেজ, ক্রিকেট স্টেডিয়াম, হাসপাতাল,আইকনিক মসজিদ, বেতার ভবন, জাতীয় তথ্য কেন্দ্র, নভোথিয়েটার, নাইট সাফারি পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনা করার পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। এর অংশ হিসেবে জঙ্গল সলিমপুর এলাকার বিভিন্ন অংশে সরকারি পাহাড় দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ বসতি ও স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করে জেলা প্রশাসন। কয়েকদফা চালানো অভিযানে দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। তবে প্রথমদিনেই উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তারা উচ্ছেদে বাধা দেয়ার পাশাপাশি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের চেষ্টা করে। # ২৪.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #
পরকীয়ার জড়িয়ে সংসারে অশান্তির জেরে বাবুল আক্তার তিন লাখ টাকায় ‘খুনি’ ভাড়া করে স্ত্রী মিতুকে খুন করান
সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা অভিযোগপত্রে উঠে এসেছে, পরকীয়ার জড়িয়ে পড়ায় সংসারে অশান্তির জেরে বাবুল আক্তার তিন লাখ টাকায় ‘খুনি’ ভাড়া করে তার স্ত্রী মিতুকে খুন করান। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মামলার সাক্ষ্যস্মারকে (এমওই) সইও করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্তে পাওয়া তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত বিদেশি নাগরিক এক নারীর সঙ্গে বাবুলের পরকীয়ার জড়িয়ে পড়া নিয়ে তাদের সংসারে অশান্তি শুরু হয়। এর জেরে বাবুল আক্তার স্ত্রীকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন। তিন লাখ টাকায় ‘খুনি’ ভাড়া করে স্ত্রীকে খুন করান। নিজেকে আড়ালে রাখতে প্রচার করেন- জঙ্গিরাই মিতুকে খুন করেছে। মিতুকে খুনের মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুলের ‘সোর্স’ মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা। সঙ্গে ছিল আরও ছয়জন। হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল মুসাকে ফোনে নির্দেশ দেন- গা ঢাকা দেওয়ার জন্য। অভিযোগপত্রে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে, যিনি এই মামলার বাদী। বাকি ছয় আসামি হলো- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া। পিবিআই প্রধান, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘তদন্ত প্রায় শেষ। অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে আদালতে দাখিল করতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।’ ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল আক্তার। হত্যাকাণ্ডের পর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছিলেন বাবুল। আদালতের আদেশে পরে মিতু হত্যা মামলা যায় পিবিআই’র হাতে। হত্যাকাণ্ডের প্রায় পাঁচ বছরের মাথায় গত ১১ মে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রাম পিবিআই কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। এর পরদিন ১২ মে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মিতু হত্যার সঙ্গে তার স্বামী বাবুল আক্তারের ‘সম্পৃক্ততার প্রমাণ’ পেয়েছেন তারা। সেদিনই চট্টগ্রামে আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন পিবিআই’র পরিদর্শক মামলার তৎকালীন আইও সন্তোষ কুমার চাকমা। এরপর ওইদিনই পাঁচলাইশ থানায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন একটি হত্যা মামলা করেন। সর্বশেষ পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক দায়িত্ব নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেন। নিহত মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন মামলায় উল্লেখ করেন, কক্সবাজার জেলায় চাকরি করার সময় বাবুল আক্তারের সঙ্গে ইউএনএইচসিআরে ফিল্ড অফিসার (প্রোটেকশন) পদে কর্মরত ভারতীয় নারী গায়ত্রী অমর সিংয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর মিতুর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়। এ নিয়ে মিতুকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। ২০১৪ সালের জুলাই থেকে পরের বছরের জুন পর্যন্ত সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত ছিলেন বাবুল। তখন তার মোবাইল ফোন চট্টগ্রামের বাসায় রেখে গিয়েছিলেন। ওই ফোনে গায়ত্রীর পাঠানো ২৯টি এসএমএস মিতু দেখে সেগুলো তার একটি খাতায় লিখে রেখেছিলেন। এতে আরও বলা হয়, ‘হত্যাকাণ্ডের এক মাস আগে বাবুল চীনে এক প্রশিক্ষণে গেলে স্ত্রী মিতু দুটি বই পান, সেগুলো ওই নারী বাবুলকে দিয়েছিল। বই দুটির দুটি পাতায় ওই নারী ও বাবুলের লেখায় তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রমাণ মিলেছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উভয়ের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি চরমে পৌঁছেছিল। নির্যাতনের বিষয়টি মিতু তাকেও জানিয়েছিল’। পিবিআই’র তদন্তে মোশাররফের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পিবিআই। প্রতিবেদনেও এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার আলামত হিসেবে উপহার পাওয়া বাবুল আক্তারের একটি বই জব্দের পর হত্যাকাণ্ডের জট খোলে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত গায়ত্রী বাবুলকে আহমেদ রশিদ রচিত ইংরেজি ভাষার ‘তালিবান’ নামে একটি বই উপহার দেন। ওই বইয়ের তৃতীয় পাতায় গায়ত্রী অমর সিংয়ের নিজের হাতের লেখায় এবং শেষ পাতা ২৭৬ এর পরের খালি পাতাটিতে বাবুল আক্তারের হাতে লেখা ইংরেজিতে তাদের ‘প্রথম সাক্ষাতের’ বিষয়সহ কিছু তথ্য লেখা আছে। গত ৭ মার্চ তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে বাবুল আক্তারের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বিশেষজ্ঞের মতামতের ভিত্তিতে পিবিআই নিশ্চিত হয় যে, বইয়ের পাতায় লেখাগুলো বাবুল আক্তারেরই। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মিতু হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা গেছে। ডক্যুমেন্ট এবং ডিজিটাল এভিডেন্সের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত সম্পন্ন করে অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করছি। তদন্ত প্রতিবেদনের সাক্ষ্যস্মারক রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরীর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। মিতু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ৪ জনকে খুনের দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছে পিবিআই। তারা হলেন- মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার সাক্কু, নুরুন্নবী, রাশেদ ও গুইন্যা। নুরুন্নবী ও রাশেদ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন। এছাড়া মামলার আসামিদের মধ্যে মুসা ও কালু পলাতক। ভোলাইয়া জামিনে আছে। কারাগারে আছে- বাবুল আক্তার, ওয়াসিম, শাহজাহান মিয়া ও আনোয়ার হোসেন। # ২৪.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #