শীর্ষ খবর:
চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে মাছ-মাংস, ডিম, শাক-সবজিসহ নিত্যপণ্যের

চট্টগ্রামের বাজারে ফের বেড়েছে মাছ-মাংস, ডিম, শাক-সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম। অস্থির সবজির বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনও ধরনের সবজি মিলছে না। ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দামও বেড়েছে। ডিমের ডজন ও মুরগির কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা করে। বাজারের এমন পরিস্থিতিতে হাঁস-ফাঁস শুরু হয়েছে অসহায় নিম্ন মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষের। যেন নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ ক্রেতাদের।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (৭ অক্টোবর) নগরের বহদ্দারহাট কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ১৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি শুক্রবার ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়। দেশি মুরগির কেজিতেও ২০ টাকা বেড়ে দাম ঠেকেছে ৫৪০ টাকায়। পাশাপাশি গতসপ্তাহে ১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

এদিকে, বাজার ঘুরে দেখা যায় ৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো ধরনের সবজি। বাজারে প্রতিকেজি গোল বেগুন ৮০, লম্বা বেগুন ৭০, হাইব্রিড শসা ৯০, চিচিঙ্গা ৬০, কচুমুখি ৬০, বরবটি ৮০ টাকা, পটল ৫০, লাউ ৭০, চালকুমড়া ৫০, ঢেঁড়স ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি শিম, টমেটো ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।

বহদ্দারহাট বাজারের বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, মুরগির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। এখন আড়তদাররা দাম বাড়িয়ে দিলে আমাদের তো কমে বিক্রি করার সুযোগ নেই। আমরাও তো কোনো না কোনোভাবে ক্রেতা। আমাদেরও তো শাক-সবজি কিনে খেতে হয়। সেখানেও তো কম দামে পাওয়া যায় না। আমার মুরগি কিংবা ডিমেও কম দামে বিক্রি করার সুযোগ নাই কারণ সব দিকেই খরচ বাড়তি।

অন্যদিকে মাছের বাজারেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মাছ। প্রতিকেজি রুই মাছ ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ মাছ ছোট বড় হিসেবে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। দেশি শিং মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ফার্মের শিং মাছ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। কই মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা ও পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫শ’ টাকায়। তাছাড়া ইলিশের বাজারেও দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। বড় আকারের ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে, মাঝারি আকারের ইলিশ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় ও ছোট সাইজের ইলিশ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাহফুজ বলেন, ‘বাজারে কোনো জিনিসই কম দামে পাওয়া যায় না। বিক্রেতারা সুযোগ বুঝে ইচ্ছেমতো দাম হাঁকিয়ে পকেট ফাঁকা হচ্ছে সাধারণ মানুষের। আগে ১০০০ টাকার বাজার করলে এক সপ্তাহ আরামসে খাওয়া যেত এখন সেটা দুইদিনেও চলে না। আর মেহমান অতিথি থাকলে তো কোনো ক থাই নাই। এক মুঠা শাকের দামও ৪০ থেকে ৫০ টাকা। তাহলে বলেন মানুষ কি খেয়ে বাঁচবে? সাধারণ ক্রেতাদের দাবি, প্রশাসন বাজার মনিটরিং জোরদার করলে ন্যায্যমূল্য দিয়ে পণ্য কিনতে পারবেন তারা।

# ০৭.১০.২০২২ চট্টগ্রাম #