চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে পাকিস্তানি পেঁয়াজ, দামে কোন প্রভাব নেই
ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ পাইকারী বাজার চাক্তাই–খাতুনগঞ্জে ইতোমধ্যে প্রবেশ করেছে পাকিস্তানি পেঁয়াজ। তবে দামের ক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। এছাড়া দেশের স্থলবন্দরগুলোতে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে পাইকারীতে দাম বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত দুইদিনে চাক্তাই খাতুনগঞ্জে ৫৮০ টন পাকিস্তানের পেঁয়াজ প্রবেশ করেছে। তবে আমদানিকারকদের এসব পেঁয়াজ লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ পাকিস্তানের পেঁয়াজের গুণগত মান খারাপ।
চাক্তাই–খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫–৫৬ টাকায়। এছাড়া পাকিস্তানি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮–৪০ টাকায়। তবে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।
পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি–১ (তাহেরপুরী), বারি–২ (রবি মৌসুম), বারি–৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছর জুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে। চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, বাজারে পাকিস্তানি পেঁয়াজের দাম কম। তবে এসব পেঁয়াজের মানও খুব একটা ভালো নয়। ভারতীয় পেঁয়াজের বাজার চাহিদা বেশি। গুণগত মানও খুব ভালো। তাই বাজারে পাকিস্তানি পেঁয়াজ আসলেও দামের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়েনি। আগামীতে চীনা পেঁয়াজ আসতে পারে, তখন হয়তো প্রভাব পড়তে পারে।
# ২২/০৯/২০২৩, চট্টগ্রাম