বিলস এর সহযোগিতায় টিইউসির শীপ ব্রেকিং শাখার সান্ধ্যকালীন সভা অনুষ্ঠিত -সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবি
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র- টিইউসির শীপ ব্রেকিং শাখার এক সান্ধ্যকালীন সভা অদ্য ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বিলস-ডিটিডিএ ওশ সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। টিইউসির শীপ ব্রেকিং শাখার অন্যতম নেতা মানিক মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন টিইউসি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার কামাল খান এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেসরকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ও টিইউসি কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক শ্রমিকনেতা আব্দুর রহিম এবং বিলস-ডিটিডিএ ওশ সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর ফজলুল কবির মিন্টু।
সভায় প্রধান অতিথি জনাব ইফতেখার কামাল খান বলেন, সরকার ২০১৮ সালে শীপ ব্রেকিং সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি মাসিক ১৬ হাজার টাকা করেছে এবং ইতিমধ্যে ৫ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমাদের বলতে হচ্ছে এখনো একটি ইয়ার্ডেও ৫ বছর পূর্বে ঘোষিত মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন হয়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং শ্রম আইনের ১৪৮ ও ১৪৯ অনুসারে মালিক পক্ষের এধরনের কার্যক্রম বেআইনি।
শ্রমিকনেতা আব্দুর রহিম বলেন, জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিকেরা শ্রম আইন অনুযায়ী কোন অধিকারই ভোগ করতে পারছে না। তাদের কোন নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিসবুক দেওয়া হয়না। কাজ না থাকলে তারা মজুরিও পায়না। তাদের কোন সবেতন ছুটি নাই। দুর্ঘটনায় আহত হলে তাদের সুকিৎসা দেওয়া হয়না। জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিকদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বিএসবিএ কর্তৃক ভাটিয়ারিতে একটা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হলেও বর্তমানে ব্যাক্তি মালিকানায় এবং মাসিক ভাড়া ভিত্তিতে হস্তান্তর করে জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিকদের জরুরি চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে।
বিলস-ডিটিডিএ ওশ সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর ফজলুল কবির মিন্টু বলেন, হংকং কনভেনশন অনুযায়ী বিষাক্ত বর্জ্যমুক্ত করে স্বাস্থ্য সম্মত ও নিরাপদে জাহাজ ভাঙ্গা এখনো নিশ্চিত করা
সম্ভব হয়নি। তবে সুসংবাদ হচ্ছে ইতিমধ্যে বাংলদেশে ৩টি শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ড গ্রীন শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের স্বীকৃতি পেয়েছে আরো বেশ কিছু শীপ ইয়ার্ড গ্রীন শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের স্বীকৃতি লাভের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ড গুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও শ্রমিকদের জীবনমানের তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি এবং তাদের স্বাস্থ্য ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়নি। তাই বাংলাদেশ সরকার হংকং কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করে এবং মালিকরা গ্রীন শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশে শীপ ব্রেকিং সেক্টরে প্রত্যাশার যে সুচনা তৈরি হয়েছে তা টেকসই ও ন্যায় ভিত্তিক করতে হলে শ্রমিক অধিকার এবং শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্যের ব্যাপারেও নজর দিতে হবে।