বেসরকারী স্বাস্থ্য খাতে শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু এবং মাসিক নিম্নতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ধার্য্য করার আহ্বান
বেসরকারী হাসপাতাল ক্লিনিকে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু এবং মাসিক নিম্নতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ধার্য্য করার দাবিতে চট্টগ্রাম বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ইউনিয়নের এক বর্ধিত সভা আজ বিকাল ৩টায় স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার কামাল খান। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র কেন্দ্রীয় সংগঠক ফজলুল কবির মিন্টু, সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি সুলাল শীল, সহসভাপতি বিপ্লব দাশ, অর্থ সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী, নারী বিষয়ক সম্পাদক আদুরি কনা, প্রচার সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, ক্রিড়া সম্পাদক আব্দুর নূর, সদস্য মোঃ ইয়াসিন প্রমুখ ।
সভায় প্রধান অতিথি ইফতেখার কামাল খান বলেন, সকল বেসরকারী স্বাস্থ্য শ্রমিকদের জন্য ন্যায্য মূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা প্রচলন করতে হবে। তিনি বর্তমান বাজার দরের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে স্বাস্থ্য খাতে নিয়োজিত সকল শ্রমিকদের মাসিক নিম্নতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা করার দাবি জানান।
তিনি আরো বলেন, শ্রম আইন অনুসারে সকল শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সবেতন ছুটিসহ পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় অন্যান্য বক্তারা অভিযোগ করেন, বেসরকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রম আইন অনুযায়ী বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধি হচ্ছে না। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে মাত্র ১০০ থেকে ১৫০০ টাকা করে বৃদ্ধি করা হয়। সম্প্রতি একটি প্রতিষ্ঠানে একজন রোগী চিকিৎসার বিল পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় সকল কর্মচারীদের বেতনের টাকা হতে ২০০ টাকা করে কর্তন করে নেয়া হয়।যা কোনভাবেই কাম্য হতে পারেনা। শ্রম আইন অনুযায়ী মজুরী কাল শেষ হওয়ার ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে মজুরি প্রদান বাধ্যতামূলক হলেও বেশীরভাগ প্রতিষ্ঠানে ১৫ থেকে ২০ তারিখে মজুরি প্রদান করা হয়।
সভায় আরো বলা হয়, কিছু কিছু বেসরকারী হাসপাতাল ক্লিনিকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে মহিলা শ্রমিক কর্মচারীদের প্রতি যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। যা আইএলও কনভেনশন ১৯০, শ্রম আইনের ধারা ৩৩২ এবং বিধিমালার বিধি ৩৬১(ক) অনুসারে গুরুতর অপরাধ। তারা বলেন ভবিষ্যতে এই অভিযোগ যেখানে পাওয়া যাবেই সেখানেই শ্রমিক-কর্মচারীরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিররোধ গড়ে তুলবে।
নেতৃবৃন্দ শ্রম বিধিমালা ৩৬১(ক) বিধি এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে অবিলম্বে সকল বেসরকারী হাসপাতাল-ক্লিনিকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট যৌন হয়রানী প্রতিরোধ কমিটি গঠন করার দাবি জানান।