বিজ্ঞান ভাবনা (১৮৭): ঘৃণা – বিজন সাহা
যারা সাইন্স নিয়ে পড়াশুনা করেছেন তারা নিউটনের সূত্রের সাথে পরিচিত। নিউটনের সূত্র ব্যবহার করে বস্তুর গতিপথ, অবস্থান এসব নির্ণয় করি। এই তত্ত্বে বাহ্যিক বল প্রয়োগের ফলে বস্তুর গতিপথ, অবস্থান ইত্যাদির পরিবর্তন হলেও স্থান কালের পরিবর্তন হয় না। অর্থাৎ রাস্তা দিয়ে গাড়ি যখন চলে তখন গাড়ির অবস্থানের পরিবর্তন হয় কিন্তু রাস্তা আগের মতই থেকে যায়। এখানে রাস্তা মঞ্চ, গাড়ি অভিনেতা। কিন্তু আইনস্টাইনের তত্ত্ব অনুযায়ী বাহ্যিক বল প্রয়োগে বস্তুর গতিপথের পাশাপাশি স্থান কালের পরিবর্তন ঘটে, মানে মঞ্চ ও অভিনেতা একে অপরের বিবর্তন ঘটায়। আমরা মনে হয় এখনও নিউটনের যুগেই রয়ে গেছি, তাই ক্ষমতার মঞ্চে শুধু অভিনেতা অভিনেত্রী পরিবর্তন হয়, মঞ্চের কোন পরিবর্তন ঘটে না। ঘুষ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এসব চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে কেয়ামতের আগ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় অতিথি হয়ে থেকে যায়। এর বাইরে আরও যে জিনিসটি বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের ঘাড়ে চেপে বসেছে – সেটা ঘৃণা। পরস্পরের প্রতি এত ঘৃণা নিয়ে একই লক্ষ্যে কাজ করা চাট্টিখানি কথা নয়। এমনকি দুই জন বক্সারও পরস্পরের প্রতি এতটা ঘৃণা নিয়ে রিঙে নামে না। কেন?
১৯৪৭ এ দেশ ভাগের পর হিন্দু মুসলমান দুই সম্প্রদায় নিজ নিজ সম্প্রদায়ের মানুষকে কতটুকু ভালোবাসতে পেরেছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তাদের পরস্পরের প্রতি ঘৃণা আজ প্রায় প্রশ্নাতীত। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধ পরবর্তী কিছু দিন বাংলাদেশে এই ঘৃণা কিছুটা উপশম হলেও সেটা আবার নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। কিন্তু সমস্যা হল মানুষ যখন ঘৃণা করতে শেখে চাইলেই সেটা সুইচ টিপে অন বা অফ করতে পারে না। ভালোবাসা ঘৃণা এসব রক্তে ঢুকে যায় সংক্রামক রোগের মত আর এই পরিবেশে বড় হয়ে পরবর্তী প্রজন্ম একই ভাবে এই রোগে আক্রান্ত হয়। যদিও সাতচল্লিশের পর আমরা বাহান্ন, একাত্তরের অগ্নি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি কিন্তু এই ব্যাধি আমাদের ছেড়ে যায়নি। ঘৃণার পাত্র বদলে গেছে কিন্তু ঘৃণা ঠিকই রয়ে গেছে। তা না হলে দেশ আজ এই ঘৃণার সাগরে ভাসবে কেন? আজ দেশে যে অপরাজনীতি আর অপসংস্কৃতির বাম্পার ফলন সেটা কি এই ঘৃণা থেকেই জন্ম নেয়নি?
আমাদের দেশে কখনোই ঘৃণার অভাব ছিল না, কিন্তু চব্বিশের আগস্ট বিপ্লবের পর তা যেন চারিদিক থেকে উপচে পড়ছে। ঘৃণাকে পুঁজি করে একে একে ধ্বংস করা হয়েছে একাত্তরের সব স্মৃতি। বত্রিশ নম্বর, মুজিব নগর, মুক্তিযুদ্ধের বীর প্রতীকদের স্মৃতি। এক কথায় যা কিছু একাত্তরের কথা মনে করিয়ে দেয় সবকিছু। এমনকি চলছে দেশের নাম, সংবিধান, এর সাহিত্য, সংস্কৃতি বদলানোর ষড়যন্ত্র। শুধু তাই নয়, সমস্ত সভ্যতা ভব্যতা জলাঞ্জলি দিয়ে বইমেলার মত জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ডাস্টবিন। বিগত সময়ের শাসনের ভিত্তিতে শেখ হাসিনার সমালোচনা, বিচার এসব হতেই পারে। কিন্তু তার একটি নিয়মতান্ত্রিক পথ আছে। এই যে শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচারী বলা হচ্ছে, স্বৈরাচারের পতনের জন্য এই যে এত মানুষ প্রাণ দিল – আজ ন্যায় বিচারের পরিবর্তে শুধু শেখ হাসিনা নয়, যাকে তাকে হয়রানি করা – সেটা কি স্বৈরাচার নয়? বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শুধু স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষান্ত হননি, মানুষ এর সমালোচনা করায় সে নিজের অপকর্মের সাফাই গেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছে। সে এখনও বুঝতে পারেনি কেন মানুষ তার সমালোচনা করছে। ভাবছে সবাই স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলছে। কিন্তু বাস্তবতা হল লোকজন প্রতিবাদ করছে এই লোকের অভদ্রতার, তার নীচু মানসিকতার, তার অপসংস্কৃতির। এই লোকই শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে। এরা এক বিশেষ শ্রেণির জীব – যাদের একমাত্র কাজ হল ক্ষমতাসীনদের সুনজরে থাকা। প্রচণ্ড প্রভুভক্ত কিন্তু একটু বেশি মূল্যে যেকোনো মুহূর্তে নতুন প্রভুর গোলাম হবার জন্য একপায়ে খাড়া।
আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলগুলো শুধু সরকারের বাইরে অবস্থান কালে গণতন্ত্রের জন্য হাপিত্যেশ করে, কিন্তু একবার ক্ষমতায় গেলেই ভাবে জনগণ যেহেতু তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে সেহেতু এখন নিজেদের আর গণতন্ত্র চর্চা না করলেও চলবে। এটাও এক ধরণের মানসিক রোগ। যেন গণতন্ত্রে শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর একচ্ছত্র অধিকার, জনগণের এতে কোন ভাগ নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য গণতন্ত্র মানে শুধু যারা তাদের সাথে নেই তাদের সমালোচনা করা। কিন্তু নিজের সমালোচনা করার সুযোগ তৈরি করা, আত্মসমালোচনা করা এসব যে গণতন্ত্রের অংশ সেটা তারা ভুলে যায়। দেশে ক্ষমতা হাতে পেলে সবাই ঈশ্বর হয়ে যায়, সবাই সমালোচনার ঊর্ধ্বে উঠে যায়। কিন্তু ঈশ্বর হওয়া কি এতই সহজ? কোটি কোটি মানুষের অভিযোগ শুনতে হয়, বিধর্মীদের গালি শুনতে হয়। আমাদের ক্ষমতাসীনরা সেটাতে অভ্যস্ত নয়। তারা শুধু নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকতে চায় আর সকল প্রশংসা ঈশ্বরের এটা শুনে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে চায়। বদের হাড্ডি যত্ত সব।
গত জুলাই আগস্টে কোটা সংস্কার আন্দোলন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয় যার পরিণাম সরকার পতন ও বাংলাদেশ বিরোধীদের ক্ষমতা দখল। তবে সরকার পতনের মূল কারণ ছিল সীমাহীন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, বাকস্বাধীনতার সীমাবদ্ধতা। মানুষ এসবে অতিষ্ঠ হয়ে ছাত্রদের পাশে রাস্তায় নেমেছিল। তাদের আশা ছিল নতুন সরকার দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি দূর করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু কথায় বলে যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। বাংলাদেশে যে দল ক্ষমতায় আসে তারা সবসময় চায় বিগত সরকারকে সব দিক থেকে ছাড়িয়ে যেতে। মূলত বাজার দখল, অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এসব ব্যাপারেই তারা দক্ষতার পরিচয় দেয়। তবে বর্তমান সরকার মনে হয় খুন, ধর্ষণ, গ্রেফতার, অপহরণ এসব বিষয়েও আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের রেকর্ড ভাঙতে বদ্ধপরিকর। অন্তত আইন শৃঙ্খলার যে দুরাবস্থা সেটা এমনটাই ভাবতে বাধ্য করে।
দুর্নীতির একটি মূল কারণ অযোগ্যতা। যখনই কোন মানুষ অযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমতাসীন হয় তখন সে না চাইলেও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। কারণ অযোগ্যতা ঢাকতে তাদের নিজেদের চেয়েও অযোগ্য লোকদের নিয়োগ দিতে হয় আর এটা হয় দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতির কোটায়। দুর্নীতি শুধু ঘুষ দেয়া নেয়া নয়, রাষ্ট্রীয় তহবিলের অপব্যয়ও এক ধরণের দুর্নীতি। দুই পয়সার সাহায্য দিতে গিয়ে কোন সমন্বয়ক যখন ১০ পয়সার হেলিকপ্টার ব্যবহার করে এটা এক ধরনের দুর্নীতি। এটা অন্যদের ভুল সিগন্যাল দেয়। অথবা আবর্জনা পরিষ্কার করতে গিয়ে লাল কার্পেট বিছানো। এসব শুধু অপচয় নয় অদক্ষতার চরম প্রদর্শনী। আমার তো মনে হয় অযোগ্য লোকের কোন পদে বসে থাকাই দুর্নীতি। কারণ সে যে নিজে কাজটি করতে পারে না তা নয়, একজন যোগ্য লোককে বঞ্চিত করে, আর অনাধিকার চর্চার ফলে প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আন্দোলনকারীরা যখন ৫ আগস্টের পরে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করল তখন থেকেই রাষ্ট্র রক্ষার দায়িত্ব তাদের। পুলিশ দলীয় নয়, রাষ্ট্রীয়। আন্দোলন কালে পুলিশ হত্যাকারীদের বিচার না করে সরকার কি তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে না? যদি তাই হয় এটাও কি এক ধরণের দুর্নীতি নয়?
ডঃ ইউনুস শান্তিতে নোবেল বিজয়ী। এটা নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন কিন্তু শান্তিতে নোবেল পাওয়া আর দেশের মানুষকে শান্তিতে রাখা এক জিনিস নয়। তাহলে সু চি, অবামা, বেগিন এরা সবাই তো শান্তির দূত হয়ে যেত। বিগত কয়েক যুগে যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তাদের মধ্যে একমাত্র নেলসন ম্যান্ডেলা ছাড়া আর কেউ শান্তির জন্য কোন অবদান রেখেছেন বলে মনে হয় না। বিশ্বাস করি ডঃ ইউনুস খুবই উঁচু মানের সিও, কিন্তু টপ ম্যানেজাররাই যদি সেরা শাসক হত তাহলে গুগল, মাইক্রোসফট, আমাজন ইত্যাদি কোম্পানির প্রধানদের দেশের প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করতে অনেক দেশ উঠেপড়ে লাগত।
ডঃ ইউনুসের সাথে মার্কিন এস্টাবলিশমেন্টের বিশেষ সম্পর্কের কারণে অনেকের ধারণা এর ফলে বাংলাদেশের প্রতি মার্কিন নীতিতে পজিটিভ পরিবর্তন আসবে। আসলে আমেরিকা এই সম্পর্ক ব্যবহার করে বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নয়, বাংলাদেশকে নিজেদের ভূরাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে। ধনী দেশের সাথে গরীব দেশের সম্পর্ক ধনী আর গরীব আত্মীয়ের মত। যতদিন গরীব ধনীর জন্য কোন না কোনভাবে কাজে আসে তত দিন ধনীর কাছে গরীবের দাম থাকে। খুব কম ধনী বন্ধু বা আত্মীয় গরীবকে সাবলম্বী হতে সাহায্য করে, কারণ সাবলম্বী হয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে। কেউ প্রতিদ্বন্দ্বী চায় না, বিশেষ করে পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায়।
আমাদের সব রাজনৈতিক দল, সব সরকারের বড় শত্রু তারা নিজেরা। কারণ তারা অন্যদের ব্যর্থতা নিজেদের সাফল্য হিসেবে দেখাতে চায়, নিজরা সফল হবার জন্য কিছুই করে না জনগণের টাকা আত্মসাৎ করা ছাড়া। যতদিন না রাজনৈতিক দল ও সরকারের মধ্যে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র ও আত্মসমালোচনার সংস্কৃতি চালু না হবে ততদিন পর্যন্ত সব সরকার বিরোধীদের জনপ্রিয়তা বাড়াবে। কথায় আছে – অতি চালাকের গলায় দড়ি। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করতে গিয়ে এক সময় নিজেরাই ধর্ম ব্যবসায়ীদের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। এরা ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চেয়েছিল কিন্তু অপরিণামদর্শিতার কারণে ধর্ম এদের ব্যবহার করছে নিজের রাজনৈতিক এজেন্ডা সফল করতে। এই যে দেশ একের পর এক বিপদের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাতে খুব কম রাজনৈতিক দলই বিজ্ঞতার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছে। সবাই শুধু অন্যের দোষ ধরতেই ব্যস্ত। নিজের অপরাধের জন্য ক্ষমা চাইতে, দুঃখ প্রকাশ করতে কেউ রাজী নয়। জামাত একাত্তরে তার ভুল স্বীকার করতে ভীত, একুশে আগস্টের ঘটনায় বিএনপি দুঃখ প্রকাশ করতে চায় না, বিগত কয়েক বছরে দেশ থেকে যে পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, চব্বিশের জুলাই আগস্টে যে পরিমাণ মানুষ মারা গেছে সেজন্যে আওয়ামী লীগ ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত নয়। সমস্যা হল কেউ দেশ বাঁচাতে চায় না, সবাই চায় নিজদের পিঠ বাঁচাতে, নতুন করে দেশ, দেশের মানুষকে শোষণ করার ম্যান্ডেট নিতে। অথচ এখন সবাই তাদের অতীতের ভুলের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে নতুন করে পথচলা শুরু করতে পারত। কিন্তু ওই যে বললাম, আমরা নিউটনের যুগে বাস করি, আমরা বাংলাদেশ নামক মঞ্চে শুধু অভিনয় করতে চাই আর অভিনয় করে অর্থ উপার্জন করতে চাই। এতে দেশের কি হল না হল তাতে এদের কারোই কিছু এসে যায় না।
লেখাটি যখন পাঠাব ঠিক তখনই দেখলাম ৩২ নম্বর আক্রান্ত হয়েছে, মুছে ফেলা হচ্ছে স্বাধীনতার ইতিহাস। কিন্তু স্থাপনা ভাঙলেই কি ইতিহাস মুছে ফেলা যায়? মনে পড়ে গেল আলাউদ্দিন আল আজাদের অমর কবিতা
“স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার ? ভয় কি বন্ধু, আমরা এখনো
চারকোটি পরিবার
খাড়া রয়েছি তো ! যে-ভিত কখনো কোনো রাজন্য
পারেনি ভাঙতে
হীরের মুকুট নীল পরোয়ানা খোলা তলোয়ার
খুরের ঝটকা ধুলায় চূর্ণ যে পদ-প্রান্তে
যারা বুনি ধান
গুণ টানি, আর তুলি হাতিয়ার হাঁপর চালাই
সরল নায়ক আমরা জনতা সেই অনন্য।
ইটের মিনার
ভেঙেছে ভাঙুক ! ভয় কি বন্ধু, দেখ একবার আমরা জাগরী
চারকোটি পরিবার।”
আসলে ৩২ নম্বর ভাঙা স্বাধীনতা বিরোধীদের শক্তির নয়, এটা ভীতির প্রকাশ। এর মধ্য দিয়ে তারা আবারও প্রমাণ করল একাত্তর তাদের কাছে ক্রসের মত যা দেখে শয়তান পালায়। এখনই সময় বাংলাদেশের পক্ষের সমস্ত শক্তির এক কাট্টা হয়ে অশুভ শক্তির মোকাবিলা করার। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সালে শাহবাগে যখন সমস্ত বাংলাদেশ এক হয়েছিল স্বাধীনতার শত্রুদের বিচারের দাবিতে ঠিক এক যুগ পরে ২০২৫ সালের ০৫ ফেব্রুয়ারি বত্রিশ নম্বর ভেঙে ফেলে তারা আসলে বাংলাদেশের প্রতিই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল। সেটা গ্রহণ করবেন কি করবেন না সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবার দায়িত্ব আপনার আমার আমাদের প্রত্যেকের।
গবেষক, জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ
শিক্ষক, রাশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি, মস্কো