জাহাজভাঙা শ্রমিক সেফটি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
আজ বিকাল ৩টায় জাহাজভাঙা শ্রমিক সেফটি কমিটির এক সভা সীতাকুণ্ড উপজেলার কদম রসুলস্থ জাহাজভাঙা শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট জহির উদ্দিন মাহ্মুদের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মোঃ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, ফজলুল কবির মিন্টু, মোঃ ইকবাল হোসেন টিইউসি নেতা মানিক মন্ডল, মোঃ জামাল উদ্দিন মহিউদ্দিন, মহিউদ্দিন প্রমুখ।
সভায় গ্রিন ইয়ার্ড হওয়ার পরেও জাহাজভাঙা শিল্পে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটতে থাকায় উদ্বেগ জানানো হয় এবং ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে সকল শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড যেন গ্রিন শিপ ইয়ার্ড এ রূপান্তরের পরিকল্পনা যেন যথাযথভাবে পালন করা হয় এবং সেই ব্যাপারে যেন মালিক-রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যেন কোন ধরনের অজুহাত সৃষ্টি করে কালক্ষেপন করা না হয়, সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শত কোটি টাকা ব্যায়ে ৭ গ্রিন শিপ ইয়ার্ড প্রতিষ্ঠিত হলেও শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও জীবনযাপনের মান উন্নয়ন হয়নি। তারা ২০১৮ সালে ঘোষিত নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়নের ব্যাপারে জাহাজভাঙা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরেও অদ্যাবধি বাস্তবায়ন না হওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৮ সালে ঘোষিত নিম্নতম মজুরি ছিল মাসিক ১৬ হাজার টাকা। ঘোষিত সময় ইতিমধ্যে ৬ বছর পেরিয়ে গেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দামও সেই সময়ের তুলনায় আকাশচুম্বী। সুতরাং বর্তমানে মাসিক ১৬ হাজার টাকা মজুরিও যথেষ্ট নয়।ইতিমধ্যে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে জাতীয় ন্যুনতম মজুরি মাসিক ৩০ হাজার টাকা নির্ধারনের দাবি উঠেছে। এই অবস্থায় জাহাজভাঙা শ্রমিকদের মাসিক ১৬ হাজার টাকা মজুরি বাস্তবায়ন না হওয়া দুঃখজনক।
সভায় আরো বলা হয়, শ্রম বিধিমালা অনুসারে উৎসব বোনাস দেয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও জাহাজভাঙা শ্রমিকদের সঠিক নিয়মে বোনাস প্রদান করা হয় না। ৪/৫টা ইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ বোনাসের নামে যা দেয় তা নিতান্তই অপর্যাপ্ত।
সভায় ২৫ রমজানের মধ্যে মূলমজুরির সমপরিমান উৎসব বোনাস প্রদানের দাবিতে আগামী ২১ মার্চ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সম্মুখ চত্বরে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।